ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পড়ে রইল ‘সাজানো বাগান’ (Sajano Bagan)। আর দেখা যাবে না বাঞ্ছারামকে (Banchharam)। তবে হ্যাঁ, পর্দার বাঞ্ছারামকে যখন ইচ্ছা তখনই দেখতে পাবেন। কারণ তিনি যে অমর। প্রয়াত মনোজ মিত্র (Manoj Mitra)। বাংলার শিল্প জগতের এই ঘটনা অপূরণীয় ক্ষতি।
হবে না ক্ষতিপূরণ (Manoj Mitra)
দশকের পর দশক পেরিয়ে যাবে। তবু এই ক্ষতিপূরণ হবে না। শিল্পীর (Manoj Mitra) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলি দুনিয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বুকে ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সঙ্গে ছিল অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, সোডিয়াম পটাশিয়ামের সমস্যা। বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৫ বছর। আজ অর্থাৎ ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৮ টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। মুহূর্তে নাট্য জগতে নেমে এল শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: Manoj Mitra: প্রয়াত নাট্যকার মনোজ মিত্র, নক্ষত্রপতনে শোকস্তব্ধ সংস্কৃতি জগৎ
কিংবদন্তি (Manoj Mitra)
মনোজ মিত্র (Manoj Mitra) বাংলা থিয়েটার থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র জগতের একজন কিংবদন্তি। অভিনয় জীবনে কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার, বাসু চ্যাটার্জী, শক্তি সামন্তর মতো পরিচালকদের সঙ্গে। তাঁর অভিনীত ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ কিংবা ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ দর্শকদের মুগ্ধ করে রেখেছে। শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে পেয়েছেন অগনতি পুরস্কার।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্ত হন আমাদের সঙ্গে। ক্লিক করুন এখানে।
পুরনো জীবন
জন্ম সেই দেশ স্বাধীনের আগে, ১৯৩৮ সালে। শিক্ষকতা করেছেন কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৫৭ সালে শুরু করেন মঞ্চে অভিনয়। তারপর প্রায় দুই দশক অর্থাৎ কুড়ি বছর পর অভিনেতা দাঁড়ান ক্যামেরার সামনে। তাঁর লেখা প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’। সময়টা তখন ১৯৫৯। প্রথমবার সেটি মঞ্চস্থ হয় পাঁচের দশকের শেষ ভাগে। তারপর থেকে লিখে গিয়েছেন একের পর এক কালজয়ী নাটক। তারপর ‘চাক ভাঙা মধু’র মাধ্যমে তাঁর খ্যাতি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চ কিংবা পর্দা, সব জায়গাতেই তিনি সমান জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন। অভিনেতা হিসেবে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Uday Pratap Singh: বউ ভাগ্যেই পার্শ্ব চরিত্র থেকে মুখ্য ভূমিকায়! পরিণীতা-র উদয় কী ভাবছেন?
অপূরণীয় ক্ষতি
তাঁর মতো অভিনেতার প্রয়াণ সত্যি অপূরণীয় ক্ষতি। ২০২৪-এর আকাশ আরও এক নক্ষত্র পতনের সাক্ষী রইল। রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী আর কন্যাকে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে পুজোর আগেই বাড়ি ফিরে ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মনোজ মিত্রের পরিবার। মনোজ মিত্রের স্ত্রীও অসুস্থ। কথা বলতে পারেন না। ডিমেনশিয়ার রুগী।
অসুস্থ ছিলেন নাট্যকার
প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের শুরুতেই মনোজ মিত্রের বুকে পেসমেকারও বসানো হয়েছিল। চলতি বছরে এই নিয়ে তিন বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এবার আর বাড়ি ফিরলেন না। জনসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য ১২ নভেম্বর বিকেল ৩টে থেকে তাঁর মরদেহ শায়িত থাকবে রবীন্দ্র সদনে।