ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মঙ্গলবার বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টি এলাকার একটি হোটেলে (Kolkata Burrabazar Fire) আগুন লাগে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে 7টা থেকে পৌনে 8টা নাগাদ আগুন লাগে। প্রবল ধোঁয়ার জেরে হোটেলের ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। ফলে ফলপট্টির অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের৷ গতকাল রাতে জোড়াসাঁকো থানা এলাকার রবীন্দ্র সরণীর বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টিতে আগুন লাগে। ঋতুরাজ নামে এক হোটেলে আগুন লাগে। এখনও পর্যন্ত মোট 15 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে ঘটনা শোনার পরেই উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে আগুন (Kolkata Burrabazar Fire)
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মদন মোহন মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে আগুন লাগে (Kolkata Burrabazar Fire)। খবর পেয়েই দ্রুত পুলিশ ও দমকলকর্মীরা পৌঁছন। ঘিঞ্জি এলাকায় ওই হোটেল হওয়ায় প্রথম দিকে সমস্যায় পড়েছিলেন দমকলকর্মীরা। প্রতিকূলতার মধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। যদিও অনেক রাত পর্যন্ত সেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। পরে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ অন্যান্যরা।
আটটি মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে (Kolkata Burrabazar Fire)
একে একে ১৪টি মৃতদেহ ওই অভিশপ্ত হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, একজন মহিলা আছেন। এছাড়াও একজন বালক ও বালিকা মারা গিয়েছে (Kolkata Burrabazar Fire)। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত আটটি মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে। মৃতদেহগুলি আর জি কর হাসপাতাল, এন আর এস ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক হোটেলের মালিক। তদন্তে সিট গঠন করছে কলকাতা পুলিশ। কীভাবে আগুন লাগল? আগুন নেভানোর জন্য কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল কি? সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Black day for Mecchua: কলকাতার ফলপট্টির ‘কালো’ সকাল! নেই হকারের হাঁক, শোকপালনে স্তব্ধ ব্যবসা
‘প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত’
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শোকপ্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বাংলাতেই শোকবার্তা দিয়েছেন তিনি। টুইট বার্তায় লেখা হয়েছে, “কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।”
‘ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার হৃদয় ব্যথিত’
এই অগ্নিকাণ্ডে নিজের শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “বড়বাজার এলাকার একটি বেসরকারি হোটেলে (ঋতুরাজ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার হৃদয় ব্যথিত। আমি সারা রাত ধরে উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপণ অভিযান পর্যবেক্ষণ করেছি এবং এলাকায় সর্বাধিক দমকল বাহিনীকে মোতায়েন করেছি। ভেতরে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত মোট 14 জন মারা গেছেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার একাত্মতা রয়েছে।”