Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত দোগাছি গ্রামে ঘটে গেছে এক অবিশ্বাস্য এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা (Murshidabad)। খবর সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাত্র তিন মাস বয়সী এক শিশু প্রস্রাব করতে গিয়ে হঠাৎ তার পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষসহ সম্পূর্ণ যৌনাঙ্গ শরীর থেকে আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটার পর মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে যায়, কারণ এত অল্পবয়সী শিশুর শরীরে এ ধরনের ঘটনা প্রায় অকল্পনীয়।
অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনা! (Murshidabad)
শুক্রবার সকালে ওই শিশুর বাবা মহম্মদ সাদ্দাম (Murshidabad) হোসেন ছেলেকে কোলে করে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে ভুগছিল, যা নবজাতকের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সাদ্দামের ভাষ্য, “গত কয়েকদিন ধরে আমার ছেলে প্রস্রাবের সময় কাঁদত। আজ সকালে হঠাৎ দেখি প্রস্রাবের সময় তার পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষ শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেছে।” তিনি ধারণা করেন, হয়তো কোনও সংক্রমণের কারণে এমন হয়েছে।
চিকিৎসকের বক্তব্য! (Murshidabad)
জঙ্গিপুর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শিশুটির অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, শিশুটির যৌনাঙ্গের স্থানে অস্বাভাবিক মাত্রার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। খবর সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “প্রথম নজরে এটি স্বাভাবিকভাবে খুলে পড়েছে বলে মনে হয়নি। দেখতে এমন লাগছিল যেন ধারালো কিছু দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। তবে আমরা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না, ফরেনসিক মতামত প্রয়োজন।”
এদিকে শিশুর বাবা সাদ্দাম জোর দিয়ে বলেন, কেউ তার ছেলেকে আঘাত করেনি, অঙ্গটি নিজে থেকেই খুলে পড়েছে। এই মন্তব্য ঘিরে এলাকায় নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকের ধারণা, বাড়ির অন্য কোনও নাবালক সদস্য খেলতে গিয়ে বা অসতর্কতায় ধারালো কিছু দিয়ে কেটে ফেলতে পারে। আবার কেউ কেউ ধারণা করছেন, বাড়িতে অজান্তেই হয়তো এমন কিছু ঘটেছে যা পরিবার এখন স্বীকার করতে চাইছে না।
খবর সূত্রে জানা যায়, (Murshidabad)
প্রখ্যাত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণ সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, “ছবি দেখে আমি মনে করি না যে সংক্রমণের কারণে অঙ্গটি আলাদা হয়েছে। যদি সংক্রমণ হতো, অঙ্গটি কালো বা নষ্ট হয়ে যেত। এখানে দুটি সম্ভাবনা থাকতে পারে—প্রথমত, যদি গর্ভাবস্থায় যমজ ভ্রূণ থাকে, কখনও কখনও এক ভ্রূণের কিছু অঙ্গ অপর শিশুর দেহে যুক্ত অবস্থায় থাকে, যা পরবর্তীতে খসে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, কোনও ধারালো অস্ত্র বা বস্তুর মাধ্যমে অঙ্গটি কেটে ফেলা হয়েছে। সঠিক কারণ বের করতে চিকিৎসক ও ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন।”
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা শিশুটির জীবন বাঁচাতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা স্পষ্ট বলেছেন, অঙ্গটি ঘটনার পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি এবং অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে, তাই প্রতিস্থাপন আর সম্ভব নয়। এখন শিশুটির সংক্রমণ প্রতিরোধ ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: Mutual Fund: দীর্ঘমেয়াদে চমকপ্রদ রিটার্ন! কোন মিউচুয়াল ফান্ড ভালো?
স্থানীয় সূত্রের দাবি, ঘটনাটি সামনে আসার পর থেকেই গোটা এলাকায় তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই আতঙ্কিত, আবার অনেকেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ যে শিশুটির সঙ্গে কী ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকের রিপোর্ট হাতে পেলে এবং পরিবারের বক্তব্য নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হবে।