“ছাপ্পান্ন বছর ধরে তুমি পাথর হয়ে আছ
ছাপ্পান্ন বছর ধরে ভারতবর্ষ
অধীর অপেক্ষায় কান পেতে আছে,
ইথার-তরঙ্গে কবে হঠাৎ শোনা যাবে
স্বাধীনতার নিজস্ব কণ্ঠস্বর
আমি সুভাষ বলছি।”
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মানে দেশনায়ক (Netaji Subhas Chandra Bose), সুভাষ মানে ঘরের ছেলে, সুভাষ চন্দ্র মানে সাহস, নেতাজি মানে রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা। আগামী ২৩ জানুয়ারি দেশনায়ক, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জানুন বীর সুভাষের জীবনের জানা অজানা কথা।
বিবেকানন্দের আদর্শেই অনুপ্রাণিত সুভাষ (Netaji Subhas Chandra Bose)
প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রফেসর ওটিনের ভারত বিরোধী মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ (Netaji Subhas Chandra Bose) জানান তিনি। তার ফল স্বরূপ হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁকে বিতাড়িত করা হয়েছিল কলেজ থেকে। মাত্র ১৬ বছর বয়স রামকৃষ্ণ দেব, স্বামী বিবেকাননন্দের বিভিন্ন বই নিয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি। স্বামীজীর অনুপ্রেরণাতেই তাঁর মনে সঞ্চারিত হয় দেশপ্রেমের ভাবনা।
‘কুলদেবতা’ হিসেবে পূজিত নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)
পূর্বস্থলীর রায় পরিবার আজও ‘কুলদেবতা’ রূপে সুভাষচন্দ্র (Netaji Subhas Chandra Bose) বসুকে পুজো করেন। ১৯৩২ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী রমেশচন্দ্র রায় ও তাঁর ভাই সুরেশচন্দ্র রায়ের কাছে এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। তৎকালীন সময়ে জেলা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন রমেশবাবুর স্ত্রী শিবভাবিনী দেবী। সেইসময় শিবভাবিনী দেবী নেতাজিকে সিঙ্গারা তৈরী করে খাইয়েছিলেন। তাই আজও নেতাজির জন্মদিনে ‘কুলদেবতা’ রূপে পুজো করা হয় সুভাষচন্দ্র বসুকে। বিতরণ করা হয় সিঙ্গারা প্রসাদ।
কালনার জ্ঞানানন্দ মঠে এসেছিলেন নেতাজি
ধর্মচর্চা তো হতোই, তার সঙ্গে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের আখড়া হয়ে উঠেছিল কালনার জ্ঞানানন্দ মঠ। কালনা শহর সংলগ্ন নেপপাড়ার এই মঠে এসেছিলেন নেতাজি। এখানেই কাটিয়েছিলেন দুই দিন দুই রাত। এই জ্ঞানানন্দ মঠে ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তোরণ’ উদ্বোধনও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Shakti Peeth: ভারতের এই পাঁচ সতীপীঠ, হয় শক্তির আরাধনা
মেদিনীপুরে নেতাজি
১৯৩৮ এর ১১ এপ্রিল কলকাতা থেকে ট্রেন পথে পাঁশকুড়ায় এসেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেখান থেকে গাড়িতে করে তমলুকে পৌঁছায় তিনি। তমলুকের রাখাল গ্রাউন্ডের সভা ভণ্ডুল করে দেয় ব্রিটিশ পুলিশ। রাজা সুরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের রাজবাড়ির অন্দরে আম গাছের বাগান কেটে সভাস্থল তৈরি করা হয়। নেতাজি সেখানে যেই চেয়ারে বসেছিলেন, সেই চেয়ার আজও রাখা আছে তাম্রলিপ্ত পুরসভার অন্দরে।

নেতাজির বাণী
- নেতাজির জন্মদিনের পুণ্যলগ্নে তাঁর কিছু বাণী স্মরণ করা যাক।
- ১. মনে রাখবেন, সবচেয়ে বড় অপরাধ হচ্ছে অন্যায়কে সহ্য করা এবং অন্যায়ের সাথে আপস করা।
- ২. যার ‘পরমানন্দ’ নেই সে কখনো মহান হতে পারে না।
- ৩. আপনার নিজের শক্তিতে বিশ্বাস করুন, ধার করা শক্তি আপনার জন্য মারাত্মক।
- ৪. সাফল্য সবসময় ব্যর্থতার স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। তাই ব্যর্থতাকে কেউ ভয় পাবেন না।
- ৫. যদি কখনও মাথা নত করতে হয়, বীরের মতো মাথা নত করুন।