ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Digha Jagannath Dham) দ্বারোদ্ঘাটনের দিন সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত রাজেশ দয়িতাপতিকে। জানা গেছে তাঁকে শো কজ় করেছে ওড়িশা সরকার। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের (দয়িতাপতি) মধ্যে কারা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং কোন কাঠ দিয়ে দিঘার মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা জানতে ওড়িশা সরকার অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জগন্নাথধাম বিতর্কে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, দিঘায় জগন্নাথধাম তৈরি হওয়ায় অনেকের তা ‘গায়ে লেগেছে’।
উদ্বোধনের পর থেকে একাধিক বিতর্ক (Digha Jagannath Dham)
বিজেপি ও ওড়িশা সরকারের একের পর এক অভিযোগের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সোমবার সরকারি সফরে গিয়ে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরীর জগন্নাথ ধামের আদলে তৈরি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে চলছে একাধিক বিতর্ক (Digha Jagannath Dham)। মন্দিরের নাম থেকে স্থাপন-সহ একাধিক বিষয়কে ইস্যু করে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির । এমনকি দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের নাম নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন ওড়িশার বিদ্বজনদের একাংশ । পাশাপাশি পুরীর মন্দির থেকে পবিত্র নিমকাঠ দিঘায় নিয়ে আসা এবং তা ব্যবহার করা ঘিরেও বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। পড়শি রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ মমতার।
‘নিমকাঠ চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে’ (Digha Jagannath Dham)
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক, কালীপুজো, দুর্গাপুজো করলে প্রশ্ন হয় না । জগন্নাথধামটা খুব গায়ে লেগেছে না ?” (Digha Jagannath Dham) সম্প্রতি বিজেপির তরফে পুরীর মন্দিরের নিমকাঠ চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে । সেই অভিযোগের জবাবে মমতা বলেন, “বলা হচ্ছে, আমি নাকি নিমগাছও চুরি করেছি । আরে, আমার বাড়িতেই তো চারটে নিমগাছ আছে । কটা দরকার জিজ্ঞেস করুন । আমাদের চুরি করতে হয় না । চোরের মায়ের বড় গলা !”
‘জগন্নাথধাম নিয়ে এত হিংসা!’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমাদের মার্বেলের তৈরি মূর্তি ছিল । মূর্তি তো কিনতেও পাওয়া যায় । আমার বাড়িতেও আছে । ওটা নিয়ে এসেছেন দ্বৈতপতি । তাঁকে নাকি প্রশ্ন করা হয়েছে কেন পুজো করতে গিয়েছিলেন !” এরপরেই মমতার তোপ, “নোটিফিকেশন দিয়েছে কেউ যাবে না জগন্নাথধামে । এত গায়ে লাগছে কেন ? আমরা তো পুরীতে যাই । আমি পুরীতে গেলে আরএসএস, বিজেপি বিক্ষোভ দেখায় । ভুলে গিয়েছেন ? লজ্জা করে না ? জগন্নাথধাম নিয়ে এত হিংসা !”
‘আলুর টান পড়ে, তখন বাংলা জোগায়’
ওড়িশা সরকারের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, “আপনাদের যখন আলুর টান পড়ে, তখন বাংলা জোগায় । আমি ওড়িশাকে ভালোবাসি । সাইক্লোনে যখন বিদ্যুতের সব ভেঙে যায়, সাহায্য পাঠাই । বাংলার পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি পুরীর মন্দিরে যান রথ ও উলটোরথে । আমরা যদি একটা জগন্নাথধাম করি, আপনাদের আপত্তির কী আছে ? আপনারাও ভালো থাকুন, বাংলাও ভালো থাকুক ।”