ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশে সম্প্রতি ‘অপারেশন শয়তানের খোঁজ’ (Operation Devil Hunt in Bangladesh) নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ, যা শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত চলেছে। এই অভিযানে সারা দেশে ১,৩০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর একটি বড় অভিযান হিসেবে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব গ্রেফতারি করা হয়েছে।
তীব্র সরকার বিরোধী আন্দোলন (Operation Devil Hunt in Bangladesh)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের (Operation Devil Hunt in Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনার পর সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গাজীপুর হয়ে উঠেছে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। গাজীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ৪০ জন ব্যক্তির মধ্যে অধিকাংশই সরকারের বিরোধী দলের সমর্থক বলে দাবি করা হচ্ছে।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ (Operation Devil Hunt in Bangladesh)
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (Operation Devil Hunt in Bangladesh) এই বিষয়ে বলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” এদিকে, গাজীপুরে হামলার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ওই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: Trump-Putin: যুদ্ধবিরতির পক্ষেই পুতিন, জানলেন ট্রাম্প
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
এই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ রাস্তায় নেমে পড়েন। প্রতিবাদী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তাদের একজন সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার এই ঘটনার জন্য তাদের গাফিলতির কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
উদ্যত মানবাধিকার সংগঠন
এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের অভিযান কি আদৌ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করতে পারবে? সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে রাজনৈতিক স্তরে চাপা বিদ্বেষ আরও বৃদ্ধি পাবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই ধরনের অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনসমর্থন সংগ্রহ করছে।
কোন দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই ধরনের অভিযান নতুন নয়, তবে প্রতিবারই এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় এবং সংশয়ের জন্ম নেয়। এখন বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করছে যে পরিস্থিতি কোন দিকে এগিয়ে যায় তা দেখার জন্য এবং সরকারের পদক্ষেপগুলো কতটা কার্যকরী হয় তা জানার জন্য।