ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি এবং সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বার্তা আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছে দিতে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল গঠন করল কেন্দ্রীয় সরকার (Operation Sindoor)। শনিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে এই সাতটি প্রতিনিধিদলের নেতাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিনিধিদলগুলিকে পাঠানো হবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য-সহ বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশে।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে কারা? (Operation Sindoor)
প্রতিটি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি (Operation Sindoor)। তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের শশী তারুর, বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ ও বৈজয়ন্ত পাণ্ডা, ডিএমকের কানিমোঝি করুণানিধি, জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে এবং শিবসেনার শ্রীকান্ত শিন্ডে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রতিনিধিদলগুলি শুধু সাংসদদের নিয়ে নয়, বরং তাতে থাকবেন কূটনীতিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।
তালিকায় কেন নেই তৃণমূল প্রতিনিধি? (Operation Sindoor)
তবে এই তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধির নাম না থাকায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে (Operation Sindoor)। যদিও এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রতিনিধিদলে যেতে অপারগ হয়েছেন। নিজেই সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, “আমেরিকায় যাওয়ার জন্য কিরেন রিজিজু ফোন করেছিলেন। কিন্তু শরীর ভালো নেই বলে যেতে পারছি না।”কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) সামাজিক মাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “যে সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজন, সেই সময়েই ভারত ঐক্যবদ্ধ। সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবে বিশ্বমঞ্চে। রাজনীতির বিভেদ ছাপিয়ে এটি জাতীয় ঐক্যের এক শক্তিশালী বার্তা।”

আরও পড়ুন: US India Trade Deal : ভারত মার্কিন পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারে আগ্রহী, দাবি করেন ট্রাম্প!
‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে যে আবেগ তৈরি হয়েছে, সেই আবহেই এই কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র (Operation Sindoor)। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় একাধিক জওয়ান শহিদ হন। এরপরই পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গিঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায় ভারত। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। বহু জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়, যার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়।

ভারতের জঙ্গিবাদ-বিরোধী অবস্থান (Operation Sindoor)
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এই সর্বদলীয় উদ্যোগ কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ (Operation Sindoor)। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জঙ্গিবাদ-বিরোধী অবস্থান যেমন জোরালোভাবে তুলে ধরা যাবে, তেমনই দেশের ভিতরেও এক রাজনৈতিক ঐক্যের বার্তা পৌঁছবে।অন্যদিকে, এই প্রতিনিধিদলে কংগ্রেসের শশী তারুরের অন্তর্ভুক্তি ঘিরে নিজ দলে কিছুটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে। কারণ ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর কেন্দ্রের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছিলেন তারুর, যা কংগ্রেসের কড়া অবস্থানের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ ছিল না। ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা এ বার পৌঁছবে বিশ্বের দরবারে—একটি সংগঠিত, রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ চেহারায়।