ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স উইক(Picnic Spot for Valentine’s Week)। এই সপ্তাহ জুড়ে শীত বিদায় নেওয়ার আগে কলকাতার অদূরে ৩ জায়গা হতে পারে পিকনিক স্পট। এই কটা দিনের ভিতর নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন কলকাতার কাছাকাছি এই সব জায়গা গুলো থেকে। দেখে নিন কোথায় কোথায় যেতে পারেন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে পিকনিকের জন্য এই শীতের শেষে। রইলো তারই ঠিকানা।
চুপির চর (Picnic Spot for Valentine’s Week)
শহুরে কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে কোথায় দু’দণ্ড সময় কাটাতে চাইলে চুপির চর হতে পারে আদর্শ জায়গা(Picnic Spot for Valentine’s Week)। নবদ্বীপ থেকে সামান্য দূরে পূর্বস্থলীর চুপি গ্রামে পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমায়। হাতে একটু সময় থাকলে এখান থেকেই ঘুরে আসতে পারেন মায়াপুর, কৃষ্ণনগর। তা না চাইলে একটা দিন পাখিদের সঙ্গে পিকনিক করে আসতেই পারেন। মন ভালো হয়ে যাবে। হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ থেকে কাটোয়া লাইনের ট্রেনে চড়ে পৌঁছে যান পূর্বস্থলী স্টেশন। সেখান থেকে টোটোয় চেপে চুপি কাষ্টশালি পাখিরালয়ে।

মাছরাঙ্গা দ্বীপ (Picnic Spot for Valentine’s Week)
টাকি থেকে আরও কিছু দূর গেলে রয়েছে মাছরাঙ্গা দ্বীপ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইচ্ছামতী ও ভাসা নদীর ঠিক মাঝখানে রয়েছে এই মাছরাঙ্গা দ্বীপ। কলকাতা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরের এই মাছরাঙ্গা দ্বীপে যদিও মানুষের আনাগোনা কম। যারা প্রকৃতি ভালবাসেন,পক্ষীপ্রেমী, তারা এই শীতে ঘুরে আসুন মাছরাঙ্গা দ্বীপ থেকে(Picnic Spot for Valentine’s Week)। এখান থেকে বাংলাদেশী জেলেদের মাছ ধরাও দেখতে পাবেন।

আরও পড়ুন:Sikkim Dzongu Tour: ৭ দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন উত্তর সিকিমের লেপচা উপজাতির বাসভূমি জঙ্গু থেকে
টাকি
কলকাতা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে ইছামতী নদীর তীরে টাকি(Picnic Spot for Valentine’s Week)। সবান্ধব পিকনিকের উপযুক্ত জায়গা। টাকির জালালপুরের কাছে গড়ে উঠেছে মিনি সুন্দরবন। গোলপাতা, গরান, কেওড়া, বাইন গাছে ঘেরা এই জায়গায় সময় কেটে যাবে চোখের নিমেষে। টাকি রাজবাড়িতে পিকনিক করতে পারেন। শিয়ালদহ বা দমদম স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকালে চেপে টাকি স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে টোটোয় চেপে মিনিট দশেকের পথ পেরোলেই টাকি রাজবাড়ি।

মাইথন
পিকনিক হোক বা দু’দিনের উইকএন্ড ট্রিপ, দামোদরের তীরে সময় কাটাতে চাইলে দেরি না করে ঘুরে আসুন মাইথন থেকে। কলকাতা থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টার পথ মাইথন। কিন্তু আসানসোল থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে বরাকর নদীর উপর ১৫৭১২ ফুট দীর্ঘ ও ১৬৫ ফুট উঁচু বাঁধ এবং ৬৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে দেখার মতো জায়গা এই মাইথন। আশেপাশে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড়। এছাড়া খুব কাছেই রয়েছে ৫০০ বছরের পুরনো কল্যাণেশ্বরী মন্দির। এখানেও রাত কাটাতে পারেন রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের মাইথন ট্যুরিস্ট লজে।

আরও পড়ুন:Solo Travel: আপনারও কি ইচ্ছে ‘মি মুনিং’-এর? কোথায় যাবেন একা বেড়াতে?
গড়চুমুক
হুগলি ও দামোদর নদের সংযোগস্থলের কাছে প্রায় ১০৬ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র। ঘুরতে তো বটেই, প্রচুর মানুষ চড়ুইভাতি করতেও এখানে আসেন। গড়চুমুকের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে উলুবেরিয়া-শ্যামপুর রোড। সেই রোডের পাশেই বসে পিকনিকের আসর। হাওড়া থেকে উলুবেড়িয়াগামী যে কোনও বাসে চেপে উলুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখান থেকে বাসে চেপে ১৭ কিলোমিটার দূরে গড়চুমুক।
