ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ চার বছরের রাজনৈতিক পরিক্রমা (Rajib Banerjee) শেষে আবার হাওড়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁকে হাওড়া জেলা পরিষদের পরামর্শদাতার (মেন্টর) পদে নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন রাজীব, তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর আবার ফিরে আসেন পুরনো দলে। ফিরে এসে দলের রাজ্য মুখপাত্র এবং বিভিন্ন জেলায় পর্যবেক্ষক হিসেবেও কাজ করেন।
হাওড়া জেলা তৃণমূলে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি (Rajib Banerjee)
এই পদে তাঁর ফেরত আসা ঘিরে হাওড়া জেলা তৃণমূলে তীব্র আলোচনার (Rajib Banerjee) সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মতে, এই পদক্ষেপ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক কৌশলের অঙ্গ হিসেবেই দেখা উচিত। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরে হাওড়া জেলা তৃণমূলে কার্যত নেতৃত্বহীন অবস্থা ছিল। বর্তমান জেলা সভাপতি কল্যাণ ঘোষ মূলত নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে ব্যস্ত থাকায় জেলার সংগঠন কিছুটা ঢিলেঢালা হয়ে পড়েছিল। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই সংগঠনের পুরনো দক্ষ সৈনিক রাজীবকে সামনে আনা হয়েছে বলেই মত দলের একাংশের।
ডোমজুড় থেকে মিছিল (Rajib Banerjee)
শুক্রবার দুপুরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা পরিষদের অফিসে আসতেই (Rajib Banerjee) যেন উৎসবের আবহ। রাস্তার দুই ধারে জড়ো হন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বহুজন মিছিল করে আসেন ডোমজুড় থেকে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রিয় নেতাকে সামনে থেকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কর্মীদের বক্তব্য, “উনি দলের প্রয়োজনে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।”
জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা পদটি নতুন নয়
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা পদটি নতুন নয়। আগে কল্যাণ ঘোষও এই পদে ছিলেন। কিছু সময়ের জন্য পদটি তুলে দেওয়া হলেও এবার আবার তা ফিরিয়ে আনা হল। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, জেলার উন্নয়নের স্বার্থেই এই নিয়োগ। প্রবীণ নেতা অজয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “পরামর্শদাতা হিসেবে সরকার যাঁকে মনোনীত করেছে, আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই।”
দিদির সৈনিক
রাজীব নিজেও এই নতুন দায়িত্ব পেয়ে উৎসাহী। তাঁর কথায়, “আমি দলের একজন কর্মী, দিদির সৈনিক। হাওড়ার উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য। দায়িত্ব যেমন পেয়েছি, নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করব।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, হাওড়ায় সংগঠনের ঘাটতি পূরণ করতে রাজীবের অভিজ্ঞতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেকটাই সুবিধা দিতে পারে। তাঁর ফেরত আসা নিছক একটি নিয়োগ নয়, বরং তা আগামী নির্বাচনের এক কৌশলগত চাল বলেই মনে করা হচ্ছে।