ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এ কি হল অভিনেতা রণদীপ হুডার (Randeep Hooda)? হাসপাতালের (Hospital ) বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। তাঁর চোখ মুখ দেখে স্পষ্ট, তিনি ভীষণ অসুস্থ। ওজন কমেছে অনেকটাই। শরীর ভেঙেছে। এই ছবি দেখে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। এই ছবি নিজেই অভিনেতা শেয়ার করেছেন। কী জানাতে চাইলেন তিনি ?
ছবির কাজে পরিশ্রম (Randeep Hooda)
বলিউড অভিনেতা (Bollywood actor) রণদীপের (Randeep Hooda) অভিনয় যে বেশ প্রশংসিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ছবির খাতিরে তিনি যে ঠিক কতটা পরিমাণ পরিশ্রম করতে পারেন, তা তাঁর ভক্তরা খুব ভালো ভাবেই জানেন। এবার তিনি এমন একটি ছবি শেয়ার করলেন, যা দেখে অনুরাগীরা রীতিমত অবাক। শুধু তাই নয়, অনুরাগী মহলে এই ছবি বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
স্মৃতিচারণায় রণদীপ (Randeep Hooda)
গত বছরই মুক্তি পেয়েছিল, রণদীপের ছবি ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকার’ (Swatantrya Veer Savarkar) । ছবিটি বক্স অফিসে খুব একটা ভালো ব্যবসা করেনি ঠিকই, কিন্তু এই ছবির পিছনে রণদীপ যে পরিমাণে পরিশ্রম করেছিল , তা নিয়ে জোর আলোচনা হয়। অনেকেই বলেছিলেন, একজন অভিনেতা হিসেবে রণদীপের কৃতিত্ব কম নেই। সেই স্মৃতিচারণায় ভাসলেন অভিনেতা।

আরও পড়ুন: Ranojoy Bishnu: জন্মদিনে রুবেলকে ফাঁকি দিলেন রণজয়! শ্বেতা বললেন, ‘এটা মানসিক যন্ত্রণা’
হাসপাতালের বিছানায় অভিনেতা
২২ শে মার্চ তাঁর ছবিটির এক বছর পূর্ণ হল। আর সেই উপলক্ষে অভিনেতা অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করলেন একটি ছবি। যেখানে দেখা যায় অভিনেতা বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। তাও আবার হাসপাতালের বিছানায়। আর এই ছবির শুটিং চলাকালীন তিনি যে যথেষ্ট পরিমাণ পরিশ্রম করেছিলেন, তার প্রমাণ এই ছবি। সেই সময় অনেকটা ওজন কমাতে হয়েছিল। এমনকি শুটিং করেছিলেন ভাঙা পা নিয়ে। সোজা কথায়, এই ছবির পিছনে রণদীপের অনেক ত্যাগ স্বীকার রয়েছে। একঝলকে ছবিটি দেখে চিন্তায় পড়ে যান অনুরাগীরা। অনেকেই ভাবতে থাকেন, তাহলে কি রণদীপ সত্যিই অসুস্থ? কিংবা অভিনেতার সাথে কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে! যদিও পরে জানা যায়, ছবিটি অতীতের এবং ছবিটি শুটিং সেটের।
আরও পড়ুন: Ranojoy Bishnu Birthday: রণজয়-শ্যামৌপ্তির বিয়ের দাবি! জন্মদিনে অনুরাগীদের আবদারে কী করলেন অভিনেতা?
রণদীপের অভিজ্ঞতা
এছাড়াও অভিনেতা আরও বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। সাথে লিখেছেন, “তিন বছর আগে শুরু করেছিলাম স্বতন্ত্র বীর সাভারকার ছবির সফর । এই দিনেই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটির পরিচালনা প্রযোজনা অভিনয় থেকে শুরু করে সহ চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করার নেপথ্যে ছিল প্রচুর ভালোবাসা, আত্মত্যাগ এবং আবেগ।” আরও বলেন, এই ছবির জন্য ওজন কমানোর কঠিন পদ্ধতি ছিল। তবে বেশি ভালো লেগেছে, এই ছবির জন্য তিনি বন্ধুবান্ধবদের থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছেন। এমনকি তাঁর পাশে ছিলেন ছবির কলাকুশলীরাও। যখন অভিনেতা মেজাজ হারিয়ে ফেলতেন , খিটখিটে হয়ে যেতেন, খিদে পেত, তখন প্রত্যেকেই তাঁর পাশে থাকতেন। তাই এই ছবি তাঁর কাছে শুধুমাত্র একটা ছবি নয়। বরং এই ছবির কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে।