ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:গান্ধী পরিবারকে চিঠি কেন্দ্রের,নেহরুর চিঠি ফেরত চাইল কেন্দ্র। গান্ধী পরিবারের কাছ থেকে জওহরলাল নেহরুর চিঠি ফেরত চাইল কেন্দ্র।প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম ও লাইব্রেরির তরফে সনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে নেহেরুর লেখা চিঠিগুলি ফেরত চাওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে জওহরলাল নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী এই চিঠিগুলি মিউজিয়ামের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সুরক্ষিত রাখার জন্য। ২০০৮ সালে জওহরলাল নেহেরুর লেখা চিঠিগুলি প্যাক করে ৫১টি বক্সে সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠিগুলি সুরক্ষিত রাখতে চেয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী চিঠিগুলি তুলে দিয়েছিলেন নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরিতে। পরে এই মিউজিয়াম লাইব্রেরির নাম হয় প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি। ২০০৮ সালে নেহরুর চিঠিগুলি পাঠানো হয়েছিল সনিয়া গান্ধীর কাছে। দেশে তখন ইউপিএ সরকার।
প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির পক্ষ থেকে এখন সনিয়া গান্ধীর কাছে ওই চিঠিগুলি ফেরত চাওয়া হয়েছে।মিউজিয়াম ও লাইব্রেরির সদস্য রিজওয়ান কাদরি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠি পাঠিয়ে এই অনুরোধ জানিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, “জওহরলাল নেহেরুর লেখা এই চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। সেগুলির অরিজিনাল কপি বা তার ফোটোকপি বা ডিজিটাল কপি সরকারের হাতে থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন: TMC News: সমবায় নির্বাচনেও সবুজ ঝড়, ছয়ে-৬ তৃণমূল
এর মধ্যে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য প্রশ্ন তুলেছেন কেন লর্ড মাউন্টব্যাটনকে চিঠি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহেরু। যা সম্ভবত একটি রাজনৈতিক তর্কের বিষয়। মাউন্টব্যাটেন, যিনি ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ব্রিটিশ রাজত্বের প্রতিনিধিত্বকারী ছিলেন, সেই সময় নেহেরুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হয়তো ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিকভাবে বিশ্লেষণযোগ্য একটি দিক।সব মিলিয়ে, এই চিঠিগুলির ফেরত চাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক বিষয় উন্মোচন করতে পারে।
কি রয়েছে চিঠিতে? নেহরুর লেখায় চিঠিগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেই সময়ের ভারতীয় রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং নেহরুর চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন আছে সেইসব চিঠিতে। এই চিঠিগুলির মধ্যে রয়েছে লর্ড মাউন্টব্যাটেন, আলবার্ট আইনস্টাইন, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পদ্মজা নাইডু, অরুণা আসাদ আলি, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে নেহরুর যোগাযোগের ইতিহাস।
কেন্দ্রের দাবি, এই চিঠিগুলি ইতিহাসের অমূল্য দলিল এবং তা রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা উচিত। এখন দেখা যাক, কী প্রতিক্রিয়া দেয় গান্ধী পরিবার।