ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্য সরকার নবম থেকে (Sabooj Sathi Cycle Scam) দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিনামূল্যে সাইকেল বিতরণের জন্য সবুজ সাথী প্রকল্প চালু করেছে।
কাটমানির অভিযোগ (Sabooj Sathi Cycle Scam)
কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে (Sabooj Sathi Cycle Scam) অভিযোগ উঠেছে যে, তারা এই সাইকেলের বিনিময়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। এই ঘটনাটি শাসকদল ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে ‘কাটমানি’-অভিযোগের তীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এই অভিযোগের পর টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
‘প্রতিবছর সাইকেল পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়! (Sabooj Sathi Cycle Scam)
পাচুয়াখালি হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা তিন হাজারেরও (Sabooj Sathi Cycle Scam) বেশি। সাইকেল পাওয়ার জন্য কিছু ছাত্রীর দাবি, তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। স্কুলের ছাত্রী অর্চনা সর্দার জানায়, ‘‘প্রতিবছর সাইকেল পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়।’’ অন্যদিকে, দিলরুবা মণ্ডল নামে এক ছাত্রীর কথায়, ‘‘স্যার কেন টাকা চেয়েছেন, তা জিজ্ঞাসা করতে ভয় পাচ্ছি।’’ নবম শ্রেণির ছাত্রী শাবানা শেখের বক্তব্য, ‘‘সবাই টাকা দিয়েছে, কিন্তু রসিদ দেওয়া হয়নি।’’
পরিস্থিতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত
স্কুলের প্রধানশিক্ষক মোহম্মদ জাহাঙ্গির আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার বিনামূল্যে সাইকেল দিলেও সেগুলি জমা পড়ে জামতলায়। সেখানে থেকে নিজেদের খরচে সাইকেল নিয়ে আসতে হয়। এজন্য আমরা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিই।’’ তবে তিনি এটি স্বীকার করেছেন যে, এভাবে টাকা নেওয়া উচিত নয়, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
কুলতলিতে রাজনৈতিক তরজা
এই ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর কুলতলিতে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডল অভিযোগ করেন, ‘‘তৃণমূল জমানায় রাজ্যে তোলাবাজি চলছে, প্রতিটি প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে, আর স্কুলের পড়ুরাও বাদ যাচ্ছে না।’’
বিধায়কের ভুল স্বীকার
তবে কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এটি ভুল হয়েছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে আমরা নজর রাখব।’’