ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চাকরি বাঁচানোর দাবিতে টানা আন্দোলনের ফলে অবশেষে আংশিক দাবি পূরণ হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের (Teachers Protest)। গরমের ছুটির আগে পর্যন্ত স্কুলে যাবে যাঁরা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। তবে এখানেই থেমে থাকছে না লড়াই। শুক্রবার এসএসসি ভবনের সামনে থেকে তাঁদের একাংশ অবস্থান তুলে নিলেও আন্দোলন আপাতত স্থানান্তরিত হচ্ছে শহিদ মিনারে।
তালিকায় নাম নেই! বঞ্চিতদের লড়াই জারি (Teachers Protest)
চাকরি ফিরে পাওয়া বা অন্তত স্কুলে ফিরে যাওয়ার সাময়িক সুযোগ মিললেও, যাঁরা ‘যোগ্য’ হয়েও এসএসসির চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাননি, তাঁদের লড়াই শুরু হলো নতুন করে। বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন করে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন এই প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নাম ওঠেনি তালিকায়।
আরও পড়ুন: Madhyamik Result: ২ মে প্রকাশ মাধ্যমিকের ফল, কোথায় রেজাল্ট দেখতে পাবে পরীক্ষার্থীরা?
আন্দোলনরত শিক্ষকদের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) কাছে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন যাতে দ্রুত উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় (Teachers Protest)। কমিশনকে দেওয়া হয়েছে দু’দিনের সময়সীমা। যদি এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দাবি মানা না হয়, তাহলে এবার বিকাশ ভবনের দিকে অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের ধরণ বদলালেও ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, যান্ত্রিক ত্রুটি, প্রশাসনিক গাফিলতি কিংবা দুর্নীতির জেরে হাজার হাজার প্রার্থী চাকরি হারিয়েছেন (Teachers Protest)। কেউ চাকরি পেয়েও বাদ পড়েছেন আদালতের নির্দেশে, কেউ আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও তালিকায় নাম না ওঠায় বঞ্চিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: SSC Panel Cancel: চাকরিহারাদের আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়া চিন্ময় মণ্ডলেরই নাম নেই ‘যোগ্য’ তালিকায়
চাকরিহারা শিক্ষক এবং যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে গড়ে উঠেছে একাধিক অধিকার মঞ্চ। বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সংগঠন নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একত্রিত হচ্ছেন শহিদ মিনারে। উদ্দেশ্য একটাই—যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পাওয়া এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন অন্যায় আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করা।
এই পরিস্থিতিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা এবং সিদ্ধান্তই এখন মূল ফোকাসে। আন্দোলনকারীরা আশাবাদী, তাঁদের দাবি বিবেচনা করে প্রশাসন দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেবে (Teachers Protest)। তবে দাবি উপেক্ষিত হলে আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে রাজ্যজুড়ে—এই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।