Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সলিল চৌধুরীর (Salil Chowdhury) কন্যা অন্তরা চৌধুরীর (Antara Chowdhury) বাবাকে নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে। সংগীত জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র সলিল চৌধুরী। তবে সেভাবে সলিল চৌধুরীকে কোনও মর্যাদা দেওয়া হয়নি! এ নিয়ে গায়িকা অন্তরা চৌধুরী কী বললেন ? কোন বিষয় নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন গায়িকা? বাবার জন্য কী করতে চলেছেন তিনি? সবই জানালেন ট্রাইব টিভির সাক্ষাৎকারে।
আক্ষেপের সুর (Salil Chowdhury)
গায়িকা অন্তরা চৌধুরীর (Salil Chowdhury) গলায় ধরা পড়ে আক্ষেপের সুর। তিনি বলেন,” হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (Hemant Kumar) ,ঋত্বিক ঘটক ( Ritwik Ghatak) এর নামে মেট্রো স্টেশন আছে ,কিন্তু সলিল চৌধুরীর নামে কোনও মেট্রো স্টেশন বা স্ট্যাচু নেই।” সেজন্য অন্তরা চৌধুরী (Antara Chowdhury) উচ্চ মহলে জানিয়েছেন যাতে এ বিষয়টা লক্ষ্য করা হয়। বাবার কথা বলতে গিয়ে গায়িকা বলেন,” বাবা যত দিন বেঁচেছিলেন ,তিনি বলতেন,” আমাকে নিয়ে কোনদিনও কোনও মূর্তি তৈরি করবি না। কারণ কোনও পাখি এসে পটি করে চলে যাবে। ” কথাটি বলতে বলতে হেসেই ফেললেন গায়িকা।
গায়িকার ইচ্ছা (Salil Chowdhury)
এ বছরই নভেম্বরে অন্তরার বাবার জন্ম শতবর্ষ (Salil Chowdhury), আর তাই পরিকল্পনা আছে বাবাকে নিয়ে তাঁর কাজ শুরু করার। তবে মেয়ে অন্তরার ইচ্ছা, বাবার একটি মূর্তি বা স্ট্যাচু তৈরি করার ,সেই মতো পারমিশন পাওয়া হয়ে গিয়েছে, এগোচ্ছেন গায়িকা। তাই এ বছরই নভেম্বরে বাবা জন্ম শতবর্ষে সেই কাজ শুরুর এগোনোর ইচ্ছায় রয়েছেন গায়িকা।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়া
বাবা সলিল চৌধুরির (Salil Chowdhury) সৃষ্টি কালজয়ী গানগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান অন্তরা চৌধুরী । তিনি বাচ্চাদের গান শেখাচ্ছেন,যা গায়িকার বাবার তৈরি করা গান। গান গুলির মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল ‘বুলবুল পাখি ময়না টিয়া’, ‘আয়রে ছুটে আয়’, ‘এক যে ছিল মাছি ‘ আরও অনেক গান। অন্তরার মতে, তিনি বাবার সৃষ্টি গুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে ছোটদের গান শেখাচ্ছেন । বাবার মৃত্যু হয়ে গিয়েছে ৩০ বছর ,তারপরেও তিনি এই ধারাকে বয়ে নিয়ে যেতে চান।
বড় প্রাপ্তি
আগের বছর পুজোর আগে ও পরে মানুষ আন্দোলনে নেমেছিল, তখনও মানুষ সলিল চৌধুরীর ( Salil Chowdhury) গান বাজিয়েছিলেন। সেই সব গান গেয়ে মানুষ আন্দোলন করেছিলেন। আর এটা কন্যা অন্তরের কাছে এক বড় প্রাপ্তি। তবে অন্তরা বলেন, এই দেশের সংস্কৃতি জগতে অনেক শিল্পীকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, সেদিক দিয়ে বাবা সলিল চৌধুরীও সেইসব মর্যাদা গুলো পাওয়া, ডিজার্ভ করেন।
সলিল চৌধুরীর (Salil Chowdhury) শিল্পকর্ম এবং আদর্শকে সামনে রেখে, আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছেন অন্তরা চৌধুরী (Antara Chowdhury)। তাঁর আশা, বাবার জন্ম শতবর্ষে, বাবার নাম নতুন করে উঠে আসবে, সমাজ সংগীতশিল্পী সলিল চৌধুরীর অবদানকে স্মরণ করবে ।