ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ব্রিগেডে হাজার হাজার মানুষের জমায়েতে উত্তাল বামেদের মহাসমাবেশ (CPIM Brigade)। মঞ্চে উঠে একের পর এক ইস্যুতে মোদি ও মমতা সরকারকে একযোগে আক্রমণ শানালেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বিশেষভাবে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বললেন, ‘‘গরিব মানুষের লড়াই স্যুট-বুট পরে হয় না। লড়াই করতে হবে আমাদেরই। আর সেই লড়াই হবে সম্প্রীতির জন্য, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থানের জন্য, ধর্ম নয়।’’
সেলিমের মন্তব্যে স্পষ্ট বার্তা—ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতিকে রুখতেই আজ ব্রিগেডে লাল ঝড় উঠেছে। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদকে বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু নিধনের জায়গা হতে দেব না। হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে না লড়লে চলবে না। লড়াই মন্দির-মসজিদকে ঘিরে নয়, মানুষের অধিকারের জন্য হবে।”
আরও পড়ুন: CPIM Brigade Rally 2025: মেহনতি মানুষের স্বর ব্রিগেডে, শহরজুড়ে মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ
‘‘নাগপুরের স্ক্রিপ্টে চলছে তৃণমূল-বিজেপি’’ (CPIM Brigade)
সেলিমের অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপি আদতে একসঙ্গে কাজ করছে। তাঁর কথায়, “তৃণমূল-বিজেপির স্ক্রিপ্ট এক। তা লেখা হয়েছে নাগপুরে। লিখে দিয়েছেন মোহন ভাগবত। কেন্দ্র ট্রেন বেচে দিচ্ছে, মমতা ট্রাম বেচে দিচ্ছেন। সরকার এখন মন্দির-মসজিদ চালাতে চায়, ট্রেনটা আগে ভাল করে চালাক!”

মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি (CPIM Brigade)
মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার প্রসঙ্গ টেনে সেলিম বলেন, “যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। আমরা চাই বিচারবিভাগীয় তদন্ত হোক। বাইরে থেকে যারা এসে অশান্তি ছড়াল, তারা ভিতরে ঢুকল কীভাবে? ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খুলতেই হবে।”
সেলিম দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে, কিন্তু অশান্তি হচ্ছে একমাত্র বাংলায়, তা-ও বিজেপি-তৃণমূলের কারণেই। অন্য রাজ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলেও এখানে হিংসা কেন?
ছাব্বিশের লড়াইয়ের ডাক (CPIM Brigade)
সম্মেলনের শেষদিকে সেলিম বলেন, “এই ব্রিগেড (CPIM Brigade) থেকেই শুরু হোক ছাব্বিশের লড়াই। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দাও এই আওয়াজ—লড়াই হোক বেকারত্বের বিরুদ্ধে, ধর্ম নয়। তৃণমূল ও বিজেপির সর্বনাশা রাজনীতিকে রুখতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”