ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : কুম্ভমেলার পর এবার দিল্লি রেলস্টেশনেও (New Delhi Railway Station) পদপিষ্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। মর্মান্তিক ঘটনা নয়া দিল্লি স্টেশনে। কুম্ভমেলাগামী ট্রেনে ওঠার হুড়োহুড়ি, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট বহু মানুষ। নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে (New Delhi Railway Station) যাত্রীদের ভিড় এবং ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়ে তিন শিশু সহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অনেকে।
কি ঘটেছে ? (New Delhi Railway Station)
প্রয়াগরাজে যাবেন বলে নয়াদিল্লি স্টেশন (New Delhi Railway Station) থেকে ট্রেন ধরতে ভিড় জমিয়েছিলেন শয়ে শয়ে যাত্রী। তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টায় কুম্ভগামী ট্রেনে ১৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছিল। এত ভিড় হয়ে যাওয়াতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্বতন্ত্র সেনানী এক্সপ্রেস ও ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস দেরিতে চলছিল। এই অবস্থায় ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যার্টফর্মে ভিড়ের চাপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তখন গুজব ছড়ায় দুটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এদিকে রেল কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে কোনও রকম ঘোষণা করা হয়নি।এমন সময় ১৫ ও ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার ঘোষণা হতেই দুটি ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ওভারব্রিজে দৌড়াদৌড়ি শুরু হতেই বিপত্তি ঘটে। পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ আকার নেয়। বিশৃঙ্খলার কারণে ওভারব্রিজ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের এসকেলেটর বা চলন্ত সিড়ির কাছে বহু যাত্রী ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। এরপরই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক সমুদ্রযাত্রা শেষ, দেশে ফিরে প্রথমবার করওয়ার বন্দরে আইএনএস তুষিল!
দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি (New Delhi Railway Station)
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নয়াদিল্লি স্টেশনে (New Delhi Railway Station) শনিবার রাতে জনসমুদ্র দেখা গিয়েছিল। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা, এত প্রাণহানি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেল আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, একটা সময়ের পরে আর কেউ কোনও কথা শুনছিলেন না। কোনও ভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। কয়েক মুহূর্তে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। শনিবারের ঘটনার কারণ খুঁজতে দুই সদস্যের উচ্চপদস্থ কমিটি গঠন করেছে রেল। কী ভাবে কখন পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হল, ওই কমিটি তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে।
আরও পড়ুন : সুরাপ্রেমীদের জন্য বড় সুখবর, বারবন হুইস্কিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক কমাল ভারত
মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
এই ঘটনায় রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে রবিবার। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, শনিবারের ঘটনায় যাঁরা গুরুতর জখম, তাঁরা পাবেন আড়াই লক্ষ টাকা। যাঁদের আঘাত সামান্য, তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এই ঘটনার পরেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “পদপিষ্টের ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে প্রশাসন।”
শোক প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।শোক প্রকাশ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং,অমিত শাহ। শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।