ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Situation) অশান্তির ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করল রাজ্য পুলিশ। মুর্শিদাবাদের, জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান-সহ একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনায় এবার ৯ সদস্যদের স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম (সিট) গঠন করল রাজ্য পুলিশ । এই ন’জনের সদস্যে আছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি পদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । তাতে আইবি, এসটিএফ, সিআইডি-সহ প্রত্যেক পদের আধিকারিকরাও আছেন ।
৯ জনের টিম (Murshidabad Situation)
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং এসটিএফ, সিআইডি আর রাজ্যের গোয়েন্দা দফতরের সদস্যদের নিয়ে ৯জনের এই টিম গঠন করা হয়েছে (Murshidabad Situation)। তাঁরা মুর্শিদাবাদের প্রত্যেকটি হিংসার ঘটনার তদন্ত করবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে টিম পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও মহিলা কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মুর্শিদাবাদে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে আপাতত। এই আবহে আজ মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে।
‘এটা হল পূর্ব পরিকল্পিত দাঙ্গা’ (Murshidabad Situation)
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘কাল এএনআইয়ের একটা ট্যুইট দেখলাম। সেখানে হোম মিনিস্ট্রিকে কোট করে বলা হয়েছে গোলমালে বাংলাদেশের হাত রয়েছে (Murshidabad Situation)। হাত যদি থাকে তাহলে তার দায় তো কেন্দ্রের এবং তাহলে আপনারা কী করছিলেন। কেন বাইরে থেকে লোক এসে এখানে গোলমাল করে চলে গেল? কেন অ্যালাউ করলেন? কৈফিয়ত আপনাকে দিতেই হবে। এটা হল পূর্ব পরিকল্পিত দাঙ্গা। অনেক খবর পাচ্ছি। এই নিয়ে তদন্ত করব।’
মোতায়েন হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একটি অংশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। মোতায়েন হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত সোমবার রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, দোষীদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না। শামিমের ওই হুঁশিয়ারির এক দিন পরেই মঙ্গলবার ধরা পড়েন জোড়া খুনের মামলায় দুই অভিযুক্ত।
কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় মুখ্যমন্ত্রী
মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইমামদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের ২৬ ধারায় যে কোনও ধর্মের মানুষকে তাদের ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। তাদের সম্পত্তি অর্জন ও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার দেওয়া হয়েছে। আপনি সেই অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন। রাম রহিমের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন। এটা কি আপনার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে? কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমার বক্তব্য, আপনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না? বাংলা হল বাংলাদেশ এবং নেপালের বর্ডার। আপনি ইউনুসের সঙ্গে গোপন মিটিং করুন। দেশের ভাল হলে খুশি হব। কিন্তু আপনাদের পরিকল্পনাটা কী? কোনও এজেন্সির মাধ্যমে ওখান থেকে লোক এনে এখানে দাঙ্গা করা? আমি সব কিছু তদন্ত করবো।’