ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন রায়গঞ্জের সুব্রত সরকার (Subrata)। উজ্জ্বল করলেন রায়গঞ্জের নামও। জোড়া আন্তর্জাতিক সম্মান পেলেন রায়গঞ্জের অতি পরিচিত মুখ সুব্রত সরকার। মূলত সমাজসেবা মূলক কাজের জন্যই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পুরস্কার পেয়ে খুশি তিনি ও তাঁর পরিবার।
দেশের নাম উজ্জ্বল (Subrata)
দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন রায়গঞ্জের সুব্রত সরকার (Subrata)। উজ্জ্বল করলেন রায়গঞ্জের নামও। সম্প্রতি আমেরিকার একটি সংস্থা ও লন্ডনের একটি সংস্থা থেকে জোড়া পদক পেয়েছেন রায়গঞ্জের অতি পরিচিত মুখ সুব্রত সরকার। সংস্থা দুটির নাম ইউএসএ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (USA Book of World Records) এবং লন্ডন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (London Book of World Records)। মূলত সমাজসেবা কাজের জন্য এই জোড়া পদক পেয়েছেন তিনি। মেডেল, শংসাপত্র এবং ট্রফি তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে।
বাবার হাত ধরেই সমাজসেবার কাজে শুরু (Subrata)
দীর্ঘ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭৬ সালে বাবার হাত ধরেই সমাজসেবার কাজে যুক্ত হয়েছিলেন সুব্রত সরকার (Subrata)। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯৫ সালে রেড ক্রসে যোগ দেন। সেখানেও রক্তদান, চক্ষু অপারেশনের কাজ করেছিলেন। তারপর ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অপূর্ব ঘোষের হাত ধরে যোগ দেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামে আসেন। এক সময় সাংবাদিকতা ও টিউশন করলেও পরবর্তীতে তিনি পুরোপুরি যুক্ত হয়ে পড়েন সমাজসেবা মূলক কাজকর্মে। তাঁর এই কাজে পরিবারের লোকেদের সহযোগিতাও ছিল সবসময়।
আরও পড়ুন: Christmas celebration: কেক ছাড়া বড়দিন! ভিড় দোকানে দোকানে
মহিলাকে স্বনির্ভরতার কাজ
সমাজসেবী হিসেবেই দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছেন সুব্রত সরকার। এক হাজারেরও বেশি মহিলাকে স্বনির্ভর করে তোলা, দশ হাজার মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই দুই সম্মান পেয়েছেন তিনি। সুব্রত সরকার যিনি সমাজসেবা করে আসছেন দীর্ঘ বছর ধরে তিনি এখনও পর্যন্ত মোট ১০৪ বার রক্ত দান করেছেন। আগামী বছর আমেদাবাদে রক্ত দান করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বাবার কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা
সুব্রত সরকার আরও জানিয়েছেন, বাবার কাছ থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি সমাজসেবা মূলক কাজে। বলেছেন, ‘বাবা মারা গিয়েছিলেন শনিবার, ঠিক তাঁর আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবারও বাবা বলেছিলেন সামাজিক কাজগুলো করতে’। একসময় তিনি রামকৃষ্ণ সেবা সংঘের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
জোড়া সম্মান
জোড়া আন্তর্জাতিক সম্মান পাওয়া সুব্রত সরকারের এখন লক্ষ্য, রক্তের সংকট দূর করা এবং থ্যালাসেমিয়ামুক্ত সমাজ তৈরী করা।