ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঠাকুরপুকুর এলাকায় রবিবার (Thakurpukur Car Accident) সকালে একটি বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ছ’জন আহত হন, যার মধ্যে একজন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টো এবং গাড়িতে ছিলেন নির্দিষ্ট চ্যানেলের সহকারী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, যাদের মদ্যপ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। এই ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে এক মহিলাকে রীতিমতো পুলিশের সামনেই জনগণের ক্ষোভের মুখে পরতে হয়েছে। যে ভিডিও ঘিরে এখন রীতিমতো উত্তাল নেটপাড়া। বিষয়টিকে ঘিরে টলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মাধ্যমে। আর এই ভিডিওর বিষয় নিয়েই আমরা সরাসরি যোগাযোগ করি অভিনেতা সাহেব চ্যাটার্জী ও ভরত কলের সঙ্গে।
শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিনেতা ভরত কল (Thakurpukur Car Accident)
অভিনেতা ভরত কল জানিয়েছেন, “সালমান খানের ক্ষেত্রে যা (Thakurpukur Car Accident) মতামত ছিল, এই ক্ষেত্রেও তাই। মানুষ শাস্তি পাক তাই চাই। যে এই কাজ করেছে তার সঙ্গে না নরমাল মানুষ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি না ব্যাঙ্কের চাকর, কারোর কোনও লিংক নেই। এই ঘটনাটাকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত করে জেনারালাইজেশনের ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে। আমি নিজে কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করিনা। কিন্তু যেটা হয়েছে সেটা খুব ভুল জিনিস, আমি চাই এই অপরাধ যে করেছে আইনগত ভাবে সে যেন শাস্তি পায়। এখন যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, যে মানুষটি মারা গেছেন, তার ও তার পরিবারের দিকে নজর দেওয়া উচিত , তার ক্ষতিপূরণের কথা সরকারকে, প্রশাসনকে, বীমা কোম্পানির এজেন্টকে ভাবতে হবে।”
“কে এই সেলিব্রিটি?” (Thakurpukur Car Accident)
তিনি আরও জানান, “কে এই সেলিব্রিটি? আপনি কি এঁকে আগে থেকে চিনতেন? আজকের দিনে বুম্বা দা, দেব, জিৎ ছাড়া আর কারা সেলিব্রিটি? আমরা সেলিব্রিটি নাকি? আমরা কেউ সেলিব্রিটি না। যার সঙ্গে ঘটনাটা হয়েছে সেও সেলিব্রিটি না। সেলিব্রিটির সংজ্ঞা আমার কাছে আলাদা। যা আইন তাই অনুযায়ীই শাস্তি হবে। আজ ধরুন ৩২ টা মেগা হচ্ছে, সবার ডিরেক্টরকে তো আপনি পর্দায় দেখছেন না। তার অপরাধ যে সে অপরাধীর সঙ্গে ছিল। তার দোষ ছিল। একজন মহিলা সে ঐভাবে পরে গেলেন, সিভিক ভলেন্টিয়ার তার গায়ে হাত দিচ্ছে, ভিডিওটা ভাইরাল এখন, বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে এই ব্যবহার আমি প্রত্যাশা করিনা। আমার মনে হয় সে তার শাস্তি পাবে। কিন্তু সিভিক ভলেন্টিয়ারের এই ব্যবহার আমার খুব খারাপ লেগেছে।”
অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য-এর গলায় একই সুর (Thakurpukur Car Accident)
তারই সুরে সুর মিলিয়ে, জনপ্রিয় অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য বলেছেন, “একটা মানুষ সকালে বাজার করতে গেছে, সে আর ফিরলো না, এর থেকে আফসোসের আর কিছুই নেই। আমার মনে হয় ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ নিয়ে প্রশাসন আগের তুলনায় কঠোর হয়েছে ঠিকই, চেকিং হয়, কিন্তু সচেতনতা বাড়ানো উচিত। এই বিষয়টাকে গ্লোরিফাই করা হয়, বলা হয় আমার হাত কাঁপে না, এই কথাগুলো খুব বোকা, বোকা, অযৌক্তিক।”
আইনের উপর আস্থা নেই! (Thakurpukur Car Accident)
দোষীর শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, “মানুষের যে আক্রোশ, যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন না তার প্রতিও, মানুষের এই চাপা ভায়োলেন্সটা ভীষণ ভয়ের। আমরা ঠিক ভুল বিচার করার আস্থাটা হারিয়ে ফেলছি। মানুষের যদি বিশ্বাস থাকতো যে সুবিচার হবে, দোষী শাস্তি পাবে, তাহলে বোধহয় তাকে মানুষ ধরে বেঁধে পুলিশের হাতে তুলে দিত। কিন্তু তা না করে মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। কয়েকদিন আগেও এই বেহালায় যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন জনগণ বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে, তার কারণ মানুষের আর আইনের উপর আস্থা থাকছে না।”
আরও পড়ুন: Kissing In Cab: ক্যাবে বসে চুমু খাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ, হাতছাড়া করলেই লস!
‘সেলিব্রিটি বলেই জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছে অপরাধী’
“এটা যারা বলছে তারা হয়তো আইন জানেন না। ড্রাঙ্ক ড্রাইভারের গাড়িতে করে যাওয়াটা আইনত অপরাধ নয়। যারা বলছে তাদের আইনটা একটু বুঝতে হবে। মানবিক দিক থেকে সবাই বলছে সবার শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু এই কথাটা অযৌক্তিক। কারও উল্লাস অন্য মানুষের হা-হুতাশ হতে পারে না।”