সিরাজুল মিস্ত্রী, বসিরহাট: বসিরহাট পৌরসভার মাথায় নয়া পালক। টাকির পর বসিরহাটেও চালু হচ্ছে ভ্রাম্যমান লঞ্চ। শুধু সাধারণ লঞ্চ নয়, সেখানে থাকছে পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। ইছামতি নদীর ওপর ভাসতে ভাসতেই খেতে পারবেন পছন্দের মাছ কিংবা কাঁকড়া। সারাদিন-সারারাত নদীর ওপর ভেসে বেড়াবে এই রেস্তোরাঁ। যা নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা বসিরহাটবাসীর মনে।
ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে এই ভ্রাম্যমান লঞ্চ পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ইতিমধ্যে পুজোর কটা দিন বুক হয়ে গেছে। যাত্রা শুরু ইছামতি নদীর বোট ঘাট থেকে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পরিষেবা পাবে পর্যটকরা। মাত্র ৩০০ টাকায় ইছামতি নদীর বুকে বসে প্রিয়জনের সঙ্গে চা কিংবা কফি ডেট জমে যাবে। আবার, ছকে বাধা জীবন ভুলে কিছুক্ষণের জন্য পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাতে মন্দ লাগবে না। বলাইবাহুল্য, টাকির পর বসিরহাটের পর্যটনের নতুন দিগন্ত খুলছে এই ভ্রাম্যমান লঞ্চ।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট পৌরসভার উদ্যোগে ইছামতি নদীর বোটঘাট থেকে যাত্রা শুরু করল চলমান লঞ্চ। যেখানে রয়েছে একাধিক প্রাচীন নিদর্শন, যেমন ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের পানিতর গ্রামে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী গৌরি দেবীর বাড়ি। যা বহন করে এসেছে প্রাচীন ঐতিহ্য-সংস্কৃতি। পাশাপাশি, স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ দিনেশ মজুমদারের স্মৃতি জড়িত প্রাচীন বাড়ি। শতাব্দী প্রাচীন বহু বাড়ি রয়েছে। যেমন বসু, কর, ব্যানার্জি, ভট্টাচার্য সহ একাধিক প্রাচীন জমিদার বাড়ির নিদর্শন চাক্ষুষ করতে পারবেন। অন্যদিকে সংগ্রামপুরে সংগ্রাম সিংহের তৈরি করা ৫০০ বছরের পুরনো কালিবাড়ি দেখতে পাবেন বসিরহাট ভ্রমণে।
এবার, বসিরহাট ভ্রমণের তালিকায় যুক্ত হল নতুন সংযোজন ভ্রাম্যমান লঞ্চ। এই ভ্রাম্যমান রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করেন বসিরহাট মহাকুমার শাসক আশীষ কুমার, বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট পৌরসভা চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী সহ কাউন্সিলর, প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আগে থেকেই বুকিং করতে যোগাযোগ করতে হবে, ৭৬৭৯২২২৯০২, ৯৭৩৩৭২০১৯৪ এই নম্বরে।