ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ট্রাম্পের শপথগ্রহণের আগেই ধাক্কা চিনা সংস্থার। আমেরিকায় (America) আর ব্যবহার করা যাবে না টিকটক(Tiktok Ban in America)। ৫ বছর আগেই টিকটক নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। আর এবার জাতীয় নিরাপত্তার (National Security) স্বার্থে সেই পথেই হাঁটল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। শনিবার রাত থেকেই অফলাইন (TikTok Offline) হয়ে যায় অ্যাপটি।
আমেরিকায় নিষিদ্ধ টিকটক (Tiktok Ban in America)
টিকটক নিষিদ্ধ(Tiktok Ban in America) আইন বলবৎ হওয়ার ২ ঘণ্টা আগেই বিদায় জানায় টিকটক। রবিবার সকাল থেকে ব্যবহারকারীরা এই সমাজমাধ্যমটি খুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। পরে জানা যায়, আমেরিকায় টিকটক নিষিদ্ধ আইন বলবৎ হয়েছে। গুগ্ল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল প্লে স্টোর থেকেও অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে এই চিনা অ্যাপ। আমেরিকায় টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে সে দেশে।
টিকটক ব্যবহারকারীদের বিদায়ী মেসেজ(Tiktok Ban in America)
যাদের ফোনে অ্যাপ ইনস্টল করা ছিল তারা অ্যাপ খুলতেই দেখতে পান বড় বড় করে লেখা রয়েছে বিদায়ী মেসেজ। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘দুঃখিত, টিকটক আর ব্যবহার করা যাবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটিক নিষিদ্ধ(Tiktok Ban in America) ঘোষণা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আইনও বলবৎ হয়ে গিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, তাই এখন থেকে টিকটক আর ব্যবহার করা যাবে না।’তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে এই সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করতে পারেন। মনে করা হচ্ছে, ৯০ দিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারেন ট্রাম্প।
টিকটকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
আমেরিকায় টিকটকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় এই চিনা অ্যাপ বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ। আর তাই বাইডেন সরকারের আমলেই টিকটক নিষিদ্ধ বিল পাস করা হয়েছে। আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষরের পর বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তবে ২০ জানুয়ারি মার্কিন মসনদে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump)। মনে করা হচ্ছে, টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন: Donald Trump Inauguration: ক্যাপিটালের উদ্দ্যানে নয়, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ ইনডোরে
ঠিক কি নির্দেশ নতুন আইনে?
নতুন আইন মোতাবেক আমেরিকার কোনও কোম্পানি ওই চিনা অ্যাপের জন্য কোনও কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবে না। টিকটক যদি মার্কিন কোনও কোম্পানির কাছে তাদের স্বত্ব বিক্রি করে, তবেই একমাত্র এখানে টিকটক চালু করা যাবে। তবে সোমবারের মধ্যে তারা আমেরিকায় আবার ফিরে আসবে বলে আশাবাদী টিকটক। ওই অ্যাপের নির্মাতাদের দাবি, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে টিকটকের সঙ্গে নতুনভাবে কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Woman Tax: সন্তানের দায়িত্ব পালনের জন্য স্ত্রীকে “ওম্যান ট্যাক্স”, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক
গত বছরই আইন পাশ আমেরিকায়
উল্লেখ্য, গত বছর চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক আমেরিকায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ(Tiktok Ban in America) করার জন্য আইন পাশ করেছে আমেরিকা। তার আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরকারি কর্মচারীদের চিনা অ্যাপ ‘টিকটক’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল আমেরিকার সেনেট। টিকটক বাতিল করার আইন পাশ করে জানানো হয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ওই পদক্ষেপ। তার পরেই আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। তবে শুক্রবার সে দেশের শীর্ষ আদালত নিষেধাজ্ঞা আইন বহাল রেখেছে। তার পরই আমেরিকায় বন্ধ হয়ে গেল টিকটক।