ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) অনুগামীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল শান্তিনিকেতন। অনুব্রতর গড়ে দলীয় কার্যালয় দখল নেওয়া নিয়ে উত্তেজনা৷ তৃণমূলের (TMC) কার্যালয় দখল নিল তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর লোকজন৷ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিনিকেতন থানার (Shantiniketan) বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ মহিলা পুলিশও মোতায়েন করা হয়৷ যদিও, দলীয় কার্যালয়টি এক ব্যক্তির বাড়ি। তৃণমূলকে পার্টি অফিস করার জন্য ভাড়া দিয়েছিল৷ সেই বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল অপর গোষ্ঠীর লোকজন।
সংলগ্ন মহিদাপুর এলাকার তৃণমূল নেতা ইনসান মল্লিক বলেন, ‘১৫ বছর ধরে এটা তৃণমূলের পার্টি অফিস৷ বাবু দাস কয়েক দিন ধরে এই পার্টি অফিস বন্ধ করে রেখেছে৷ আমরা তাই এই (TMC) পার্টি অফিস দখল নিলাম৷ অনুব্রত মণ্ডলের ছবি লাগিয়ে দিলাম৷’
আরও পড়ুন: ট্যাব দুর্নীতির ‘হোম সেন্টার’ চোপড়া, পুলিশি অভিযানে ধৃত আরও ১৫
আরও পড়ুন: আবাস যোজনার নামে প্রতারণার ফাঁদ! ফোন করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ
স্থানীয় রূপপুর অঞ্চলের তৃণমূলের (TMC) পর্যবেক্ষক তথা বোলপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল সঙ্গীতা দাসের স্বামী বাবু দাস বলেন, “পার্টি অফিস বন্ধ কেন থাকবে? পার্টি অফিসের সামনে কাজ হচ্ছে তাই বন্ধ৷ আমরা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর অনুগামী৷ দাদার নামকে কলুষিত করতে নোংরামি করছে৷ প্রশাসনকে জানিয়েছি৷”
বোলপুরের শ্রীনিকেতন বাজারে রূপপুর অঞ্চলের তৃণমূল-কংগ্রেসের কার্যালয় রয়েছে। রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত তৃণমূলের রূপপুর অঞ্চলের পর্যবেক্ষক বাবু দাসের কার্যালয় ছিল। এমনটাই এলাকায় রটনা৷ সেই কার্যালয় এদিন দখল নিয়ে আসে তৃণমূলের (TMC) অপর গোষ্ঠীর লোকজন৷ কার্যালয়ের উপরে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দেওয়া ব্যানার ও দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: ফের ঘুষ-কাণ্ডের ফাঁপরে আদানি গোষ্ঠী, জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা, শেয়ার বাজারে নামল ধস
তবে এই কার্যালয়টি এক ব্যক্তির বাড়ি৷ রোজিনা খাতুনের দাবি, এই বাড়ি তাদের৷ বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন তারা৷ সেই বাড়িতে তৃণমূল কার্যালয় চলছিল৷ গত কয়েক মাস সেই কার্যালয় বন্ধ ছিল৷ এদিন, তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন এসে কার্যালয়ের তালা ভেঙে দেয়৷ এই নিয়ে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়৷ খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। মহিলা পুলিশও এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷
বাড়ির মালিক রোজিনা খাতুন ও সেরিনা বিবি বলেন, “আমাদের বাড়ি এটা৷ বাবু দাসকে পার্টি অফিস করার জন্য ভাড়া দিয়েছিলাম৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee) যেদিন থেকে বলেছে কারও ব্যক্তিগত বাড়িতে পার্টি অফিস করা যাবে না৷ সেদিন থেকে অফিস বন্ধ৷ ওদের নিজেদের ঝামেলা, আমাদের এখানে এসে তালা ভাঙলো, পতাকা লাগিয়ে দিল৷ ওরাও তৃণমূলের লোক, অন্য এলাকার৷”