ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বৃহস্পতিবার সাতসকালে ইংরেজবাজার শহরে ঝলঝলিয়ার কাছে মাতাল মোড় এলাকায় নিজের প্লাইউড কারখানার কাছে খুন হন এক তৃণমূল নেতা। তিনি ছিলেন মালদহ জেলার সহ সভাপতি এবং ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর। ওই তৃণমূল নেতার নাম দুলালচন্দ্র সরকার (TMC Leader Murder News)। মালদহে দুষ্কৃতীদের গুলিতেই খুন হন বলে জানা যায় দুলালচন্দ্র ওরফে বাবলা।
কারা খুন করে দুলালচন্দ্রকে (TMC Leader Murder News)
জানা যায় বৃহস্পতিবার সকালে দুলালচন্দ্র যখন দাঁড়িয়েছিলেন নিজের কারখানার সামনে, ঠিক সেইসময় বাইকে চেপে আসা তিনজন দুষ্কৃতী গুলি চালায় তাঁকে লক্ষ্য করে (TMC Leader Murder News)। ভরা বাজারে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে গোটা এলাকায়।
কী জানা যায় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে (TMC Leader Murder News)
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় নিজের দোকানের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন দুলাল সরকার। এমন সময় মুখে মাফলার চাপানো দুই যুবক সামনে আসে। দু’জনের হাতেই ছিল বন্দুক। তাদের দেখে ভয় পেয়ে দৌড়ে দোকানের ভিতরে পালিয়ে যান দুলাল। ওই দুই যুবকও গুলি চালাতে চালাতে ঢুকে পড়ে দোকানের ভিতর। তাঁকে লক্ষ্য করে চালানো হয় একাধিক গুলি (TMC Leader Murder News)।
আরও পড়ুনঃKrishna Kalyani: বিধায়কের আর্জিতে সাড়া মুখ্যমন্ত্রীর, চাকরি পেলেন সন্তানহারা মা
কীভাবে মারা যান দুলালচন্দ্র
একটি গুলি লাগে দুলালের মাথায়, মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় গুলি। হতভম্ব এবং স্তব্ধ হয়ে যায় দোকানের বাকি কর্মচারীরা। গুলি চালাতে চালাতেই দৌড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। যন্ত্রণায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দুলাল। এমন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় বাবলাকে। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর (TMC Leader Murder News)।
ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা
ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে হতাশ হয়েছেন পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ (TMC Leader Murder News)। পুলিশ ওই তিনজন দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা যায়। ওই দুষ্কৃতীরা কে বা কারা সে বিষয়ে খুব দ্রুত খোঁজ নিয়ে তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করবেন বলে জানায় পুলিশমহল।
আরও পড়ুনঃKalighater Kaku: ফের অসুস্থ ‘কালীঘাটের কাকু’, পিছিয়ে গেল চার্জ গঠনের কাজ
সামাজিক মাধ্যমে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান তাঁর খুব আস্থাভাজন এবং অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি দুলাল সরকার। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং জনপ্রিয় নেতা বাবলা সরকার আজ খুন হয়েছেন।… তৃণমূলের গোড়ার দিন থেকে উনি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এই ঘটনার কথা জেনে আমি দুঃখিত। অপরাধীদের দ্রুততার সঙ্গে ধরা উচিত।“
নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন
নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী এই খুনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন “অবশ্যই পুলিশের গাফিলতিতে খুন হয়েছে। ওর উপর আগেও আক্রমণ হয়েছে। ওর সিকিউরিটি ছিল আগে। এখন সেটা তুলে নিয়েছে। আমি ববি হাকিম এবং সাবিনাকে মালদা পাঠাচ্ছি।‘’