ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। লক আপ থেকে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল ক্যানিংয়ে। ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তায় জোর করে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগে এক যুবককে ক্যানিং রায়বাঘিনি মোড় এলাকা থেকে আটক করে ক্যানিং থানার টহলদারি গাড়ি। তাকে থানায় নিয়ে এসে বসিয়ে রাখা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিংয়ের ওই পুজো কমিটির সম্পাদক তথা এলাকার জয়ন্ত ঘোড়াই যান ক্যানিং থানায়। অভিযোগ সেই সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা তাঁকে অপমান করেন। প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: দেনার দায়ে পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে খুন, গ্রেফতার বাবা
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শুটআউট, যুবককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা খাস কলকাতায়
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ক্যানিং থানা চত্বরে। খবর পেয়ে ওই পুজো কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও থানায় যান। অন্যায় ভাবে কেন পুলিশ জয়ন্তকে মারধর করল সেই বিষয়ে জানতে চায়। তখন আরও উত্তেজনা ছড়ায়। পরে ক্যানিং থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে বিরোধী দলনেতা সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেন যে, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস ও ক্যানিং ১ ব্লক যুব তৃণমূলের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা থানায় হামলা চালিয়েছে। পুলিশ কর্মীদের মারধর করেছে ও থানায় ভাংচুর করেছে। এই বিষয়ে তদন্ত করতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আবেদন করেছেন এবং থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে আবেদন করেছেন। বিজেপির দাবি জয়ন্ত এলাকার তৃণমূল নেতা, তিনি থানায় এসে পুলিশের উপর চড়াও হলে পুলিশ কর্মীরাও নিজেদের রক্ষা করতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস। তিনি পাল্টা শুভেন্দুকেই একহাত নিয়েছেন।