ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হাতিয়ারের বদলে মিলবে বিরল খনিজ! ইউক্রেন ও আমেরিকার মধ্যে শুরু হতে চলেছে এই নতুন বিনিময় প্রথা (Trump relation with Ukraine)। সম্প্রতি এই বিষয়ে বলতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে। তাহলে কী আমেরিকা ইউক্রেনে হাতিয়ার সরবরাহ শুরু করবে? যদি তা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে যাবে! কেননা পর্যাপ্ত হাতিয়ার পেয়ে ইউক্রেন আবারও যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। যে যুদ্ধ গত তিন বছর ধরে অশান্ত করে রেখেছে গোটা পূর্ব-ইউরোপকে।
কোন কোন বিরল খনিজ? (Trump relation with Ukraine)
ইউরোপের ‘রুটির ঝুড়ি’ ইউক্রেনের মাটির গভীরে লুকিয়ে আছে কোটি কোটি টাকার বিরল খনিজ (Trump relation with Ukraine)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খনিজ হল লিথিয়াম ও টাইটানিয়াম। কিন্তু, দেশটির যে এলাকায় এই খনিজগুলি পাওয়া যায়, বর্তমানে তার সিংহভাগেই রয়েছে রাশিয়ার দখলে। বাকি খনিগুলির অবস্থান যুদ্ধক্ষেত্র লাগোয়া এলাকায়। এজন্য সেখান থেকে উত্তোলন বেশ কঠিন। ইউক্রেনে রয়েছে বিশ্বের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ জটিল খনিজ ও ধাতু। বিরল খনিজ বলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোন খনিজ গুলিকে বুঝিয়েছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এর মধ্যে দু’টি খনিজ নিয়ে সর্বাধিক চর্চা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম খনিজটি হল টাইটানিয়াম। যা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং মহাকাশ গবেষণায় বহুল ব্যবহার রয়েছে। আর দ্বিতীয় খনিজটির নাম হল লিথিয়াম। বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারি থেকে শুরু করে মাইক্রোচিপ এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্প সব কিছুতেই এই খনিজটির ব্যবহার রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মোড়? (Trump relation with Ukraine)
ইউক্রেন গত প্রায় তিন বছর ধরে মরণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন (Trump relation with Ukraine)। এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তিনি যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন বলে একাধিক বার তাঁকে আওয়াজ তুলতে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই নতুন করে ইউক্রেনের তরফে এই টোপ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে যদি ট্রাম্প ও জেলেনেস্কি একমত হন তাহলে আবারও পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা। কেননা ইউক্রেনের ভরসা মার্কিন হাতিয়ার। এই পরিস্থিতিতে হাতিয়ার ও গোলা-বারুদের সরবরাহ সচল রাখতে ওয়াশিংটনকে বিরল খনিজের টোপ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি।

আরও পড়ুন: Operation Devil Hunt in Bangladesh: বাংলাদেশ জুড়ে ‘শয়তানের খোঁজ’, গ্রেফতার ১০০০-এরও বেশি!
ট্রাম্প কী বলেছেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাজধানী ওয়াশিংটনের ওভাল কার্যালয়ে বসে বলেছেন, ‘বিরল খনিজের নিরাপত্তা দিতে হবে। এর জন্য আমরা কোটি কোটি ডলার খরচ করছি। ইউক্রেনের কাছে প্রচুর পরিমাণে বিরল খনিজ রয়েছে। আমাদের পদক্ষেপ মেনে নিতে ওরা ইচ্ছুক।’

আরও পড়ুন: Trump-Putin: যুদ্ধবিরতির পক্ষেই পুতিন, জানলেন ট্রাম্প
কেন ট্রাম্পের নজর ইউক্রেনের খনিজে?
ইউক্রেনের লিথিয়াম ও টাইটানিয়ামের খনিতে ট্রাম্পের নজর পড়ার পেছনে মূল কারণ হিসাবে চিনের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা দাবি করছেন,মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন বিরল খনিজের কারণেই অভাবনীয় উন্নতি করেছে বেজিং। ড্রাগন ভূমিতে এই ধরনের খনিজের বিপুল ভান্ডার রয়েছে। যা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ইউক্রেনের প্রতি আগ্রহী করেছে।