ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (US-Taiwan Navy Controversy) সময়, তখনকার প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনি চিনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে দু’টি যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ঘটনা একটি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
‘রুটিন প্রক্রিয়া’ মানতে নারাজ চিন (US-Taiwan Navy Controversy)
মার্কিন নৌবাহিনীর সূত্রে জানা (US-Taiwan Navy Controversy) গেছে, আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রালফ জনসন এবং ইউএসএনএস বাউডি মঙ্গলবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছে। যদিও পেন্টাগন জানিয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজগুলো স্থায়ীভাবে প্রণালীতে মোতায়েন করা হচ্ছে না এবং এটি একটি ‘রুটিন প্রক্রিয়া’। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ চিন। শি জিনপিং সরকারের পক্ষ থেকে এমনই মন্তব্য করা হয়েছে।
বছর তিনেক আগে (US-Taiwan Navy Controversy)
তাইওয়ান প্রণালীর ওপর মার্কিন নৌবাহিনীর (US-Taiwan Navy Controversy) উপস্থিতি নতুন কিছু নয়। তিন বছর আগে তাইওয়ান-চিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে আমেরিকার নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিলও ওই প্রণালীতে ঢুকেছিল। ওই সময়ও পেন্টাগন ইউএসএস রোনাল্ড রেগনসহ অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল। ফলে, চিনের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
আরও পড়ুন: Sheikh Mujibur Rahman Controversy: মুজিব-সমাধিতে হামলার ছক, জামাতি ইসলামের নিশানায় টুঙ্গিপাড়া?
জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি (US-Taiwan Navy Controversy)
তবে, ২০২২ সালের অগস্টে হাউস অফ (US-Taiwan Navy Controversy) রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তিনি সেখানে যাওয়ার পর চিনা যুদ্ধবিমান নিয়মিতভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে। এর ফলে আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ আবারো প্রণালীতে প্রবেশ করে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
তাইওয়ান চিনের মধ্যে নতুন সংঘাত!
এখন, আবার তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি চিনের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, চিনের ৩৯টি যুদ্ধবিমান এবং পাঁচটি জাহাজ তাদের ঘিরে টহল দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি তাইওয়ান এবং চিনের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের আবহ সৃষ্টি করেছে।
ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির কঠোর অবস্থান
এমন সময় যখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে, তখন তাইওয়ান সরকার কট্টর চিন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) জয়ের পর নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। এই দলটি চীনের প্রতি কঠোর নীতির সমর্থক, যা অবশ্যই সংঘাতের উষ্ণ আবহে আরও অবদান রাখবে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা!
চিনের সেনাবাহিনী এবং মার্কিন নৌবাহিনীর মধ্যে চলমান এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই উত্তেজনার ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চিন উভয়কেই অনেক সতর্ক থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!
এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলছেন। যেহেতু উভয় পক্ষই শক্তিশালী, তাই তাদের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে তাইওয়ান প্রণালীতে উভয় দেশের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।