ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লাশ দূর্ঘন্ধে টেকা দায়। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে পরে রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের ফ্রিজার (Uttarbanga Dead Body)। ফলে লাশের স্তূপ জমতে জমতে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। দায় কি অস্বীকার করতে পারবে প্রশাসন?
অন্যতম সরকারি হাসপাতাল (Uttarbanga Dead Body)
শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সরকারি হাসপাতাল (Uttarbanga Dead Body)। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত, এটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের প্রথম মেডিকেল কলেজ। পশ্চিমবঙ্গের ২৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে একটি এবং এলাকার দিক থেকে বৃহত্তম।
জমছে লাশ (Uttarbanga Dead Body)
জমছে লাশের স্তূপ, বাড়ছে দুর্গন্ধ। দীর্ঘদিন ধরেই অকেজো হয়ে পরে রয়েছে ফ্রিজার। যার ফলে চরম ভোগান্তি রোগী এবং রোগীর পরিবার-পরিজনের। অগাস্ট মাস থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কলেজের মর্গে ৫২টি দাবিদারহীন দেহ পড়ে রয়েছে। সাধারণত মর্গে ৩২টি দেহ রাখা যায়। তবে এই মুহূর্তে ১৬টি ফ্রিজ়ার খারাপ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে সর্ব সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: RG Kar Junior Doctor Case: বিচার অধরা, আন্দোলন তীব্র করতে ‘ফেসবুক পেজ’ খুললেন নির্যাতিতার বাবা-মা
গন্ধে চলা দায়
যাতায়াত করাও দায় হয়ে পরেছে এলাকার বাসিন্দাদের। এমনকি পচা দুর্ঘন্ধ আশেপাশের এলাকাগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতাল চত্বরের একেবারে শেষ প্রান্তে মর্গ এবং ময়নাতদন্তের ঘর রয়েছে। পাশ দিয়েই কোয়ার্টার এবং বসতি সাধারণের। দুটো কুলিং চেম্বারের মধ্যেও একটি খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে মরদেহ জমতে জমতে এখন এমন দুর্গন্ধ বার হয়েছে যার ফলে টেকা দায় হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের।
হাসপাতালের উদাসীনতা
প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের উদাসীনতার ওপর। যেই ফ্রিজার গুলো খারাপ হয়ে রয়েছে সেই ফ্রিজার গুলিকে পূর্ত দফতর ঠিক করতে নিয়ে গেলেও কিন্তু, ঠিক হয়নি এখনো। বারংবার মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও হয়নি কোনও লাভ। এমনকি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে দেহগুলিকে সৎকারের নির্দেশ দেওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে জামিন ‘ভদ্র কাকুর’, একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে দিলো আদালত
সরকারি নিয়ম
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সাত দিনের মধ্যে দাবিদারহীন দেহের সৎকার হয়ে যাওয়ার কথা। এই ধরনের নির্দেশ মূলত জেলা প্রশাসন থেকেই পাঠানো হয়ে থাকে। সম্প্রতি সেই নির্দেশ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডাক্তার রাজীব প্রসাদ বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও অর্ডার আসেনি।