ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলার পর রাজ্য রাজনীতিতে যেন নতুন করে গতি পেল চাপানউতোর (WB Governor)। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে—এমন অভিযোগ বহুদিন ধরেই তুলে আসছে রাজ্য সরকার। এবার সেই প্রশ্ন আরও জোরালোভাবে সামনে আনল রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের চাপের মুখে, বুধবার রাতে দুটি বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করল রাজভবন।
দু’টি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ রাজভবনের (WB Governor)
রাজভবনের স্পষ্ট দাবি—রাজ্যপাল সংবিধান অনুযায়ী শিষ্টাচার মেনেই চলছেন (WB Governor)। কোনও রকম অশালীনতা বা নিয়মভঙ্গ নয়, বরং যেসব বিলে দেরি হচ্ছে, সেগুলির পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনও রাজভবনের হাতে আসেনি। অর্থাৎ, ঘুরিয়ে বললে—রাজভবনের মতে, বিল আটকে থাকার দায় পুরোপুরি তাঁদের নয়, বরং তথ্য না পাঠানোয় বিলম্বের দায় কিছুটা নবান্নের কাঁধেও রয়েছে।
আরও পড়ুন: Waqf Property: ওয়াকফ সম্পত্তি ‘জবরদখল’ বিতর্ক, রিপোর্টে জড়িত তৃণমূলের একাধিক নেতা!
২০২৩ সালে রাজ্যপালের টেবিলে মোট ২২টি বিল আটকে রয়েছে বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপরেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। রাজভবনের (WB Governor) দাবি অনুযায়ী, সেই বিলগুলির মধ্যে পাঁচটিতে ইতিমধ্যেই সম্মতি দেওয়া হয়েছে, আর কয়েকটি বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। এমনকি দু’টি বিল রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে।
তবে রাজনীতির পর্যায়ে এই চাপানউতোর শুধু প্রশাসনিক নয়—এটি হয়ে উঠেছে রাজ্য ও কেন্দ্রের সম্পর্কের এক প্রতীকী চিত্র। বিল পাশ হলেও আইনে রূপ দেওয়ার জন্য রাজ্যপালের সম্মতির প্রয়োজন হয় (WB Governor)। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াই যদি দীর্ঘ হয় বা থমকে যায়, তাহলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি বিঘ্নিত হতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: Kasba incident: চাকরিহারাদের লাঠিচার্জ কেন? কসবা-কাণ্ডে পুলিশের আচরণের জবাব তলব লালবাজারের
এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে—বিধানসভায় জনগণের ভোটে গৃহীত সিদ্ধান্ত কি রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে? রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের (WB Governor) এই দূরত্বের দায় কাদের? আর এই প্রশাসনিক জট, শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের উপরই বা কী প্রভাব ফেলছে?