ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শিল্পপতি গৌতম আদানি সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল (White House)। আর সেই অভিযোগের মামলা দায়ের হয়েছিল আমেরিকার আদালতে।এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে গৌতম আদানিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
তিনি গত বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে গৌতম আদানি ও প্রধানমন্ত্রী মোদী সহ বিজেপিকে তীব্র আক্রমন শানিয়ে ছিলেন।এবার আমেরিকার আদালতে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের দায়ের হওয়া মামলায় প্রতিক্রিয়া জানাল হোয়াইট হাউস (White House)।
আদানির বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ (White House)
শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের মামলার ঘটনায় ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা সেই নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছিল। এবার হোয়াইট হাউসের (White House) তরফে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দপ্তরের তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, আদানি মামলার কারণে ন্যাদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।
কী বললেন মুখপাত্র (White House)
হোয়াইট হাউসের (White House) মুখপাত্র কারিন জিনান পিয়ের সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, আমরা মনে করি ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের গভীরতা এই সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারবে। এমনকি আমেরিকার বিচার বিভাগকে গৌতম আদানি সহ বাকি ছ-জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেশ করতে বলেও জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিনান পিয়ের। তিনি মন্তব্য করেছেন,” বিষয়টি সম্পর্কে আমরাও সচেতন রয়েছি।” হোয়াইট হাউসের তরফে এই প্রতিক্রিয়া দেওয়ার পর অনেকই মনে করছেন আদানির বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগের কারণে ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে খুব বেশি প্রভাব পরবে না।
আরও পড়ুন: Joe Biden Veto: ইসরায়েল-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ‘‘ভেটো’’ প্রয়োগ জো বাইডেনের
ঘুষের অভিযোগ
বেশ কয়েকটি রাজ্যের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতের কিছু নেতা-মন্ত্রী সহ সরকারি আধিকারিদের ২৬.৫ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। ঐ সমস্ত রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদানি সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে।
গৌতম আদানির ভাইপো সাগর ও রয়েছে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠা সাত জনের মধ্যে। এই সাতজনের বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা’ এবং ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’-এর তরফে মোট পাঁচটি ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি আমেরিকার কয়েকটি সংবাদ সংস্থার তরফে দাবি করা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই গৌতম আদানি এবং তার ভাইপো সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে আমেরিকাতে। তবে এই বিষয়ে আমেরিকার এই প্রতিক্রিয়ার পর এই সমস্যার সদর্থক সমাধানের দিকে এগোতে পারবে বলেই মনে করছেন আন্তজাতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: দু’দিনের গায়ানা সফরে মোদী, সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানের ঘোষনা গায়ানা ও বার্বাডোসের
সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা
গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে আমেরিকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মোট পাঁচটি ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছে। আমেরিকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যেই গৌতম এবং সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
কিন্তু আমেরিকায় ঘুষ কেন?
কিন্তু ভারতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতীয় নেতা-মন্ত্রী-আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আদানিদের বিরুদ্ধে কেন আমেরিকায় মামলা হল? কারণ হল, ‘আদানি গ্রিন এনার্জি’ আমেরিকার শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে। সে দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে তারা আমেরিকার আইন মেনে চলতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে তারা ঘুষের টাকা আমেরিকার বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ। যা পুরোপুরি বেআইনি। ফলে মামলার মুখে পড়েছেন তারা।