ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক, নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে খুন (Woman killed) করে সোজা থানায় পৌঁছে গেলেন স্বামী। স্বামী নিজেই থানায় ধরা দিয়ে বললেন, ‘স্ত্রীকে খুন করেছি’। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আরামবাগের সালেপুরের দাস পাড়া এলাকায়। ঘটনার কথা জানতে পেরে বাড়িতে যায় পুলিশ। গিয়ে দেখে ঘরের মধ্যেই পরে রয়েছে গৃহবধূর নিথর দেহ পড়ে আছে।
থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর (Woman killed)
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। জানা গেছে, ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ দাস। প্রায় ১৫ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তানও আছে। অভিজিৎ দাসের মায়ের অভিযোগ, ওর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রায় অশান্তি হত দুজনের মধ্যে। ছেলে সোনার কাজ করে। বাড়িতে ছেলের সঙ্গে বৌমারও অশান্তি হয়েছিল এই ঘটনা ঘিরে। এবার অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন (Woman killed) করল স্বামী।
আরও পড়ুন: RG Kar Murder Case: আরজি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়, সাজা ঘোষণা সোমবার
শনিবার রাতেও তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয় বলে খবর। রবিবার সকালে দম্পতির ছেলে দেখেন, বিছানায় পড়ে মায়ের নিথর দেহ। বাবাকেও খুঁজে পায়নি সে। এদিকে ততক্ষণে থানায় হাজির হয়েছে গুণধর। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে পৌঁছায় আরামবাগ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে গৃহবধুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Goalpokhar Incident: গ্রেফতারিতে DGP-র ‘ডেডলাইন’! সাজ্জাকের এনকাউন্টারের পর গ্রেফতার তার সহযোগী
এদিকে মৃতার বাবা গুরুপদ নন্দী বলেন, আমি কিছুই জানি না। মেয়ের সাথে আমার দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্ক নেই। রবিবার আমাকে থানা থেকেই ফোন করেছিল। পুলিশই জানায় যে আমার মেয়েকে নাকি খুন (Woman killed) করেছে জামাই। ওর এর আগেও এক বার বিয়ে হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা গৃহবধূর নাম ঋতু দাস। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। স্বামী আত্মসমর্পণ করে স্ত্রীয়ের পরকীয়ার দোষ দেখালেও এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।