ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে কার ক্ষমতা কত (Millitary Power)? কীভাবে বোঝা যাবে? বিশ্বের দেশগুলির ক্ষমতা অর্থাৎ সামরিক শক্তি কতটা সেটা বোঝার জন্য বিশ্বের একাধিক সংস্থা প্রকাশ করে তাদের গবেষণার রিপোর্ট। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট হিসেবে পরিচিত ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স’। এই ইনডেক্স থেকে সহজেই বোঝা যায় কোন দেশ কতটা শক্তিশালী! নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্বের দেশ গুলির সামরিক র্যাঙ্কিং তালিকা প্রকাশ করলো ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স’।
একই স্থানে ভারত, অবনমন পাকিস্তানের (Millitary Power)
নতুন এই ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স’-এ ভারত নিজের স্থান ধরে রেখেছে (Millitary Power)। অন্যদিকে সামরিক ক্ষমতায় আরও নিচে নেমেছে পাকিস্তানের অবস্থান। এমনকি প্রথম দশের মধ্যেও স্থান পায়নি এই পরমাণু শক্তিধর দেশটি। তবে আগের মতোই সামরিক ক্ষমতায় ভারতের থেকে এবারেও একধাপ এগিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী চিন। আবার আমেরিকাও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে, কিন্তু অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও নিজের প্রাপ্ত পয়েন্ট অনেকটাই কমেছে রাশিয়ার।
কীভাবে তৈরি হয় এই ইনডেক্স? (Millitary Power)
‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স’-এর দেশগুলির র্যাঙ্কিং তৈরি করা হয় বিশ্বের দেশ গুলির মোট ৬০টি আলাদা আলাদা বিষয়কে বিচার- বিশ্লেষণ করে (Millitary Power)। এর মধ্যে অন্যতম হল বিষয় হল কোনও রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। এছাড়া কোনও দেশের কাছে কী কী অত্যাধুনিক হাতিয়ার রয়েছে সেটার উপরেও নির্ভর করে তৈরি করা হয় এই ইনডেক্সের তালিকা। এই বারের এই ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স’-এর তালিকায় মোট ১৪৫টি দেশকে র্যাঙ্কিং দিয়েছে এই আন্তর্জাতিক ফৌজি সমীক্ষক সংস্থা।
আরও পড়ুন: Gaza Ceasefire Day 1: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতিতে প্রথম বন্দি বিনিময় সফল
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স
২০০৫ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন তাবড় শক্তিশালী দেশের সামরিক শক্তির তালিকা তৈরি করে ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার’। সেই তালিকা তৈরির পেছনে থাকে মোট ৬০ টি বিষয়। সেই ৬০ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি সূচক তৈরি করে সমীক্ষক সংস্থা। এই সমীক্ষায় প্রত্যেক দেশকে একটি পয়েন্ট দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে এই পয়েন্ট যত বেশি শূন্যের কাছে থাকবে সেই দেশকে তত বেশি শক্তিশালী বলা হবে।
আরও পড়ুন: Trump Dance: ‘ওয়াইএমসিএ’- এর বিখ্যাত নৃত্যের তালে নাচলেন ট্রাম্প
কোন দেশের অবস্থান কত নম্বরে?
‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স’-এর তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এক সময়ের ‘সোভিয়েত সুপার পাওয়ার’ রাশিয়া। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘ড্রাগেনের দেশ’ চিন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে আমাদের ভারতবর্ষ। পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ব্রিটেন এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। অষ্টম স্থানে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মহাশক্তি জাপান। নবম স্থানে রয়েছে তুরস্ক। আর সামরিক ক্ষমতায় দশম স্থানে রয়েছে ইতালি।