ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কিটো ডায়েট (Keto Diet) বা কিটোজেনিক ডায়েট একটি জনপ্রিয় খাদ্যাভ্যাস, যা মূলত হাই ফ্যাট ও লো কার্বোহাইড্রেটের উপর নির্ভর করে গঠিত। এই ডায়েটের উদ্দেশ্য হল শরীরকে কিটোসিসের অবস্থায় নিয়ে আসা, যেখানে শরীর শক্তির জন্য শুধু ফ্যাটকে ব্যবহার করে। এই ডায়েট অনুসরণ করার সময় কিছু বিশেষ খাবার নির্বাচন করা জরুরি।
ডিম (Keto Diet)
ডিম কিটো ডায়েটের একটি অন্যতম প্রধান খাদ্য (Keto Diet)। এটি হাই প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে সমৃদ্ধ। ডিম রান্নার বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন সেদ্ধ, ভাজা বা অমলেট করে খাওয়া যায়। এর সঙ্গে কিছু সবজি যেমন পালংশাক বা মাশরুম যোগ করলে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়।
অ্যাভোকাডো (Keto Diet)
অ্যাভোকাডো ফ্যাটের একটি স্বাস্থ্যকর উৎস। এতে উপস্থিত মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী (Keto Diet)। অ্যাভোকাডো স্যালাড বা স্মুদি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে এবং এটি খাবারের স্বাদও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। স্যান্ডিউইচে ভালো করে ম্যাশ করে এই ফলটা খাওয়া যেতে পারে।
বাদাম ও সিডস (Keto Diet)
বাদাম ও সিডস যেমন কাঠবাদাম, পেস্তা, চিয়া সিড, এবং তিল কিটো ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে (Keto Diet)। এগুলো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবারের ভালো উৎস। স্ন্যাক হিসেবে খাওয়া যেতে পারে অথবা স্যালাডেও ব্যবহার করা যেতে পারে। রোজ রাতে চিয়া সিডস, কাঠবাদাম ভিজিয়ে রেখে পরেরদিন সকালে খালিপেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: Face Pack: বানিয়ে ফেলুন ফেস প্যাক, দাগছোপ নিমেষে হবে দূর…
মাংস ও মাছ
রেড মিট, চিকেন, মাছ এবং শেলফিশ কিটো ডায়েটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হাই প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত। গ্রিল করা, ভাজা বা রোস্ট করা মাংস এবং মাছ স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। তবে বাঙালি বাড়ির তেল ঝাল মশলা দেওয়া রান্না খেলে কিন্তু হবে না। তেল যত কম খাবেন, শরীর তত ভালো থাকবে।
আরও পড়ুন: Bangladeshi Cooking: পড়শি দেশের এই পাঁচ রান্না, ঐতিহ্যের প্রতীক
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি যেমন পালংশাক, ব্রোকলি, কলিফ্লাওয়ার, এবং বাধাকপি কিটো ডায়েটের জন্য আদর্শ। এগুলো কম কার্বোহাইড্রেট এবং উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ। স্যালাড হিসেবে বা হালকা ফ্রাই করে বা স্যুপ হিসেবে এগুলো খাওয়া যেতে পারে।

এই পাঁচটি খাবার কিটো ডায়েট অনুসরণ করার সময় আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলো কেবল স্বাস্থ্যকর নয়, বরং সুস্বাদুও বটে। কিটো ডায়েটের মাধ্যমে আপনি ওজন কমাতে এবং শরীরকে ফিট রাখতে পারেন।