ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump New Law) মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রশাসনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে ট্রাম্প সরকার মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সুযোগ পাবে।
অভিবাসন সম্পর্কে ট্রাম্প (Donald Trump New Law)
ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আইনি পথে অভিবাসীরা (Donald Trump New Law) আসুক, আমার কোনওরকম আপত্তি নেই। তবে তাদের আইনি পথে আসতে হবে। আমাদের দেশকে তাদের প্রয়োজন, কিন্তু সেটা যেন বৈধ পথে হয়।’’
সীমান্ত নিরাপত্তায় জোর (Donald Trump New Law)
তিনি আরও বলেছেন, মেক্সিকো সীমান্তে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির (Donald Trump New Law) বিরুদ্ধে লড়াই চালানো হবে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মেক্সিকো থেকে মাদক পাচারকারী সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে, যা সীমান্ত নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করবে।
নাগরিকত্ব আইনেও বদল? (Donald Trump New Law)
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব আইনেও (Donald Trump New Law) বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মলাভকারী প্রত্যেক শিশু স্বতঃসিদ্ধভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করবে—এই সংবিধানিক অধিকার পরিবর্তন করতে চান তিনি। ট্রাম্প এই বিষয়ে প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন, তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের সংবিধান পরিবর্তন শুধুমাত্র প্রশাসনিক নির্দেশের মাধ্যমে সম্ভব নয় এবং বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: Donald Trump Speech: দাবানল নিয়ে সতর্ক ট্রাম্পের নজরে গাল্ফ অফ মেক্সিকো
শুধু পুরুষ ও নারী, নেই রূপান্তরকামী!
এছাড়া, ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় ম্যান্ডেটে আসার পর একটি নতুন সরকারি নীতির ঘোষণা করেছেন, যা অনুযায়ী শুধুমাত্র পুরুষ এবং মহিলা—এই দুটি লিঙ্গের ধারণা সরকারী নথিপত্রে থাকবে। এই সিদ্ধান্তে লিঙ্গ পরিচয়ের ক্ষেত্রে কোনও বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। নতুন নির্বাহী আদেশ অনুসারে, পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্যান্য সরকারি নথিতে শুধু পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বিভাজন থাকবে। এটি সমাজের মধ্যে লিঙ্গ পরিচয়কে সংজ্ঞায়িত করার একটি প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
মাদক পাচারের বিরুদ্ধে নতুন আইন?
এছাড়া, ট্রাম্প সরকারের আরেকটি পদক্ষেপ হচ্ছে আমেরিকায় মাদক পাচারের বিরুদ্ধে নতুন আইন পাশ করার প্রক্রিয়া। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রে জর্জিয়াতে এক নার্সিং ছাত্রীর হত্যার ঘটনায় দেশটির প্রশাসন নতুন আইন প্রণয়ন করছে। গত বছর ২২ বছরের লেকেন রাইলির হত্যাকাণ্ডের পর ওই ছাত্রীর নামেই একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসী ও মাদক পাচারকারী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এই বিলটি সেনেটে ৬৪-৩৫ ভোটে পাশ হয়ে গেছে এবং এখন এটি আমেরিকান কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে পাসের জন্য জমা হবে। আশা করা হচ্ছে, বিলটি দ্রুত পাশ হবে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সইয়ের পর এটি আইনে পরিণত হবে।