ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়াকফ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ফের সাসপেন্ড তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জেপিসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বচসায় জড়ান তৃণমূল (TMC News) সাংসদ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আরও কয়েকজন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয় বৈঠক থেকে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে ১০ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। বৈঠকে কোনও নিয়ম মানছেন না চেয়ারম্যান। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো করে কাজ করছেন। বিরোধী দলের সাংসদদের কথা শুনছেন না বলেও এদিন অভিযোগ তুলে সরব হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার সকালে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ওয়াকফ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনা করতে চাইলে তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ (TMC News) বলেন, ”সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কোনও রীতি মানা হচ্ছে না। সরকার আগে থেকেই তাদের অবস্থান ঠিক করে আসছে। সেই অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। লোক দেখানো বৈঠক করা হচ্ছে। নিজেদের মতামতকেই চূড়ান্ত রিপোর্ট হিসাবে দেখানো হচ্ছে। বিরোধীদের নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগটুকুও দেওয়া হচ্ছে না।”
হঠাৎ কেন রেগে গেলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়? (TMC News)
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/republic-day-history-and-revolution/
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিধানসভার অধিবেশনে কেন্দ্রের সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ বিল নিয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC News)। ওয়াকফ নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। এই আইন বলবৎ হলে ওয়াকফ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সব ধর্মেরই নিজস্ব ট্রাস্ট আছে। সেরকমই ইসলাম ধর্মে আছে ওয়াকফ। অন্য ধর্মের অনেক মানুষও ওয়াকফে দান করেন। সেই ওয়াকফ সম্পত্তি কেন কেড়ে নেওয়া হবে? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর (TMC News)।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/mob-attacked-teacher-during-class-in-school/
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী টেনে আনেন সংখ্যালঘু খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সংখ্যালঘু উন্নয়ন আগে বরাদ্দ হত ৪৭২ কোটি টাকা। এখন হয় ৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা। ইংরেজি মাধ্যমেও মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যের সরকার উর্দুকেও সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ওয়াকফ বিল মুসলিম সমাজের কাছে ধাক্কা বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।