ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফের ছত্তীসগঢ়ে(Chhattisgarh)মাওবাদী দমন অভিযান। মাওবাদী দমন অভিযানে নামল যৌথ বাহিনী। রবিবার সকালে ছত্তীসগঢ় পুলিশ জানিয়েছে, বিজাপুর জেলায় গুলির লড়াইয়ে ১২ জন মাওবাদীর নিহত হন। তবে পাল্টা হামলায় দু’জন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দুই। সপ্তাহ খানেক আগেই এই বিজাপুরেই যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে আট জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল।
বিজাপুরে জারি তল্লাশি অভিযান(Chhattisgarh)
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের(Chhattisgarh)বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের ‘পশ্চিম বস্তার ডিভিশন’-এর সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্কে খবর মেলে। তার পরই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ, ছত্তীসগঢ় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যেরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ে ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। বস্তার পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। এনকাউন্টারে খতম হওয়া মাওবাদীদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এনকাউন্টার সাইট থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের নিরাপত্তা বাহিনী নকশালদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। ডিআরজি বিজাপুর, STF, C-60 কর্মীরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান যৌথবাহিনীর(Chhattisgarh)
গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশন জুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। পাশাপাশি, মাওবাদী গেরিলাদের মূল স্রোতে শামিল হওয়ার জন্য চলছে ধারাবাহিক প্রচার অভিযান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদী নেতা-নেত্রীরা।
আরও পড়ুন: Atishi Marlena: রাজধানীতে আপের ভরাডুবি, শীর্ষ ক্ষমতা হারিয়েও উদ্দাম নাচ দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর
‘২৬-র মার্চেই ছত্তিশগড় নকশালমুক্ত’
গত কয়েক বছরে দেশ থেকে মাওবাদীদের হটাতে বার বার তৎপর হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। চলতি বছরেও বার বার তিনি দাবি করেছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের অন্তিম দিন হতে চলেছে। তার আগেই দেশ থেকে মাওবাদীদের সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে। মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করতেও উৎসাহ দিয়েছে রাষ্ট্র। ধরা দেওয়া মাওবাদীদের চাকরির সংস্থান, স্বাস্থ্য-সহ যাবতীয় দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে, এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Delhi Assembly Result : বাইশেই থেমে গেল ঝাড়ু ঝড়, ৪৮ আসনে বাজিমাত বিজেপির, খাতাই খুলল না কংগ্রেসের
নয়া নীতিতে মাওবাদীদের নির্মূলের পথে ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়েছে সরকার। গত বছরে সরকারি হিসাবে ২০৭ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ছত্তিশগড়ে(Chhattisgarh)বিভিন্ন এনকাউন্টারে ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। ছত্তিশগড় পুলিশের মতে, ২০২৩ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন এনকাউন্টারে ২১৯ জন মাওবাদীকে খতম করেছে।