সিরাজুল মিস্ত্রী, বসিরহাট: টাকির ইছামতি নদীর ভাসান প্রাচীনকাল থেকে এক সংস্কৃতি বহন করে চলেছে। দুই বাংলার বিসর্জনের মধ্যে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। শতাব্দী প্রাচীন এই বিসর্জন দেখতে ভিন্ন রাজ্য এমনকি বিদেশি পর্যটকরা নদীর পাড়ে ঢল নামান। পুজোর একমাস আগে থেকে টাকির যেসব হোটেল রয়েছে সেগুলো সব বুকিং হয়ে যায়।
এবারের বিজয়া ঘিরেই একই উত্তেজনা দুই বাংলার মানুষের মনে। আজ দুপুর বারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। সেই সঙ্গে দর্শনার্থীদের নৌকা নামবে। কিন্তু সীমান্ত কেউ অতিক্রম করতে পারবে না। তার জন্য নদীর মাঝ বরাবর ৫০টি বোর্ড মোটা দড়ির কাছি দিয়ে সীমারেখা তৈরি করা হয়েছে। একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের বাহিনী থাকবে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/about-500-years-ago-gaurahari-bhattacharya-started-durga-puja-in-arambagh/
পাশাপাশি, উইনারস টিম সিভিল পোশাকে থাকবেন। যাতে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও খামতি না থাকে। ইতিমধ্যেই, ইছামতি নদীর পাড়ে ভিড় জমাতে শুরু করেছে দর্শনার্থীরা। এই বিসর্জন ঘিরে রয়েছে দুই বাংলার সম্প্রীতির এক নিদর্শন। ইতিমধ্যে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী বসিরহাট মহাকুমার শাসক। প্রশাসনিক আধিকারিক ইছামতি নদী পরিদর্শন করছেন।