ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০২৪ এ মার্কিন মসনদে কে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সময়ই বলবে। তার আগে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে কাকে এগিয়ে রাখছে ভারত? ভারত-আমেরিকার সঙ্গে অভিবাসন নীতি থেকে শুরু করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। ভারতের সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্যে কতটা প্রভাব ফেলবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার ভোটে ভারতীয়দের অন্যতম একটি চিন্তার বিষয় অভিবাসন নীতি নিয়ে সে দেশের পরবর্তী প্রশাসনের অবস্থান। বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কোন পথে হাঁটবেন তা ভাবাচ্ছে ভারতীয়দের। কোনও আমেরিকান সংস্থায় আমেরিকার বাইরের কোনও কর্মীর এই ভিসা প্রয়োজন হয়। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন বিধিতে আরও কড়াকড়ি আনতে পারে। তাতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মীরা ছাড় পেলেও সমস্যায় পড়তে পারেন অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত স্বল্পপ্রশিক্ষিত বা অপ্রশিক্ষিত কর্মীরা। এ বিষয়ে তুলনায় উদার ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের আমলে গড়ে ৯০.৭ শতাংশ এইচ১-বি ভিসায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টদের আমলে সেই গড় ৯৪.৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/must-win-usa-election-for-donald-trump-to-avoid-jail/
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারের দিকে আরও বেশি জোর দিতে চান হ্যারিস। ভারতেরও লক্ষ্য কয়লা, পেট্রোপণ্যের মতো জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনা। এই বিষয়ে হ্যারিসের প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের মনের মিল হতে পারে। অন্যদিকে ট্রাম্পের নজর চিরাচরিত শক্তির দিকেই। সেটিও ভারতের জন্য লাভদায়ক হয়ে উঠতে পারে। কারণ, পেট্রোপণ্যের জন্য ভারতের আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/repeated-harassment-allegations-in-the-west-bengal/
ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম করতে পারে। যাতে সুবিধা পাবে ভারতও। চিরাচরিত শক্তির দিকে নজর দিলেও টেসলা কর্তা এলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্য বেশ ভালো। এ বারের ভোটে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারও করেছেন তিনি। ট্রাম্প জিতলে কি ভারতীয় বাজারে টেসলা-স্টারলিঙ্ক আসার পথ আরও সুগম হবে? তা নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।