ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (South Korea Plane Crash) ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র দু’জন বেঁচে রয়েছেন। জেজু এয়ারের এই বিমানটি ব্যাংকক থেকে উড়ে এসে মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করছিল। অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন প্রাণ হারান।
কারা জীবিত? (South Korea Plane Crash)
বেঁচে যাওয়া দুইজন হলেন ৩২ বছরের লি এবং ২৫ বছরের কওন। তারা দুজনেই বিমান সেবিকা এবং বিমানের পেছনের অংশ থেকে উদ্ধার হন। এই দুর্ঘটনার (South Korea Plane Crash) পরে তাদের কথাবার্তায় চরম হতভম্ব অবস্থা ফুটে উঠেছে।
কী বলছেন তাঁরা (South Korea Plane Crash)
লি, যিনি বিমানের পেছনের দিকে ছিলেন, প্রায়ই বলছিলেন, “কি হয়েছে?” এবং “আমি এখানে কেন?”। তাকে মু্কপো কোরিয়ান হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে (South Korea Plane Crash)। হাসপাতালের কর্মীরা জানান, লি চরম শক পাওয়া অবস্থায় আছেন এবং তিনি তার আঘাত সম্পর্কে সঠিক কিছু বলতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: Bangladesh New Year: বাংলাদেশে বর্ষবরণ ঘিরে বিধিনিষেধ! উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা ইউনূস প্রশাসনের!
কী বলছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা?
হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, “সম্ভবত তিনি বিমানের এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই আতঙ্কিত ছিলেন।” লি’র বাঁ কাঁধ ভেঙে গেছে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে। তবে তিনি সচেতন ছিলেন। পরে তার পরিবারের অনুরোধে তাকে সিউলের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দুর্ঘটনার স্মৃতি নেই
অন্য জীবিত যাত্রী কওন বর্তমানে মকপো সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার স্মৃতিতেও দুর্ঘটনার কোনও অংশ নেই। তার মাথার ত্বকে কাটা দাগ, গোড়ালির হাড় ভাঙা এবং পেটে ব্যথা রয়েছে। “তার জীবনের ঝুঁকি নেই, তবে আঘাত ও মানসিক ট্রমা গুরুতর,” জানিয়েছেন হাসপাতালের একজন প্রতিনিধি।
কী বলছে প্রাথমিক তদন্ত?
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অবতরণের সময় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ না করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বিমানটি কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায়। তদন্তকারীরা বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছেন। বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে ত্রুটি বা মানবসৃষ্ট ভুলের সম্ভাবনা থাকলেও, বিশদ বিশ্লেষণের আগে কর্মকর্তারা বিস্তারিত জানাতে নারাজ।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেই দুর্ঘটনা
এই দুর্ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে ঘটল। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল-এর বিরুদ্ধে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য তদন্ত চলছে। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অর্থমন্ত্রী চোই স্যাং-মোক, যিনি আপাতত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট; এই রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট মোকাবিলা করছেন।