ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সম্প্রতি বাংলাদেশে (Bangladesh) আটক থাকা ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে (Fishermen Torture)। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অভিযোগ, বাংলাদেশে আটক মৎস্যজীবীদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে বাংলাদেশি নৌবাহিনী (Bangladeshi Navy)। সেই অত্যাচারের অভিযোগ এবার শোনা গেল বাংলাদেশ ফেরত মৎস্যজীবীদের মুখেও (Fishermen Torture)।
বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় ট্রলার (Fishermen Torture)
বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে কাকদ্বীপের (Kakdwip) ছ’টি মৎস্য ট্রলার আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী (Bangladesh Coast Guard)। ওই ট্রলারগুলির মধ্যে থাকা ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার (95 Indian Fishermen Arrested) করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অধিকাংশ মৎস্যজীবী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এবং নামখানা এলাকার (Fishermen Torture)।
মৎস্যজীবীদের ফেরাতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী (Fishermen Torture)
বিষয়টি জানার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে সম্প্রতি বাংলাদেশে আটক থাকা মৎস্যজীবীদের ফেরানো হয়েছে এদেশে। বাংলাদেশের জেলে বন্দি থাকাকালীন ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের (Brutal Torture Of Indian Fishermen) অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে সেই একই অভিযোগ শোনা গেলো এদেশে ফেরত আসা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মুখেও (Fishermen Torture)।
জেল কয়েদিদের অত্যাচারের শিকার (Jail Inmates Tortured)
বাংলাদেশের উপকূল রক্ষীবাহিনী (Bangladesh Coast Guard) ও পুলিশ (Police), এমনকি জেল কয়েদিদের (jail Inmates) হাতেও অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (Indian Fishermen)। হাত-পা বেঁধে মারধর, গোপনাঙ্গেও আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোমর থেকে পা পর্যন্ত চোট নিয়ে দেশে এসেছেন তাঁরা। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে অনেকের।
১ মৎস্যজীবীকে খুনের অভিযোগ (Alleged Murder Of 1 Fisherman)
৯৫ জন মৎস্যজীবীর সঙ্গে ছিলেন বছর ষাটের গুণমণি দাস (Gunmani Das) নামে আরও ১ মৎস্যজীবী। মৎস্যজীবীর দাবি, ১৬ অক্টোবর মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে যায় ট্রলারের ইঞ্জিন (Engine Of The Trawler Broke Down)। সেই সময়ে সীমান্ত পার করে চরম বিপদের মুখে পড়েন সকলে। বাংলাদেশের কোস্টগার্ড দেখতে পেয়ে সজোরে ধাক্কা মারে গুণমণি দাসের ট্রলারে। ট্রলার থেকে ছিটকে সমুদ্রে পড়ে যান ৫ মৎস্যজীবী। চারজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি গুণমণি দাসের। গুণমণি দাসকে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ তুলছেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন: Train Service Halted in Dhupguri: উল্টে গেল পিকআপ ভ্যান, আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে রাজধানী এক্সপ্রেস
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২২ মৎস্যজীবী (22 Fishermen In The Hospital)
আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে নিরীহ মৎস্যজীবীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আঘাতের জেরে দেহের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে মৎস্যজীবীদের। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য (Trinamool Zilla Parishad member) সঞ্জয় দাস। আহত ২২ জন মৎস্যজীবীর চিকিৎসা হয় কাকদ্বীপ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Superspeciality Hospital)।