ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ৩১ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (Amar Sangi Poster) এবং সোহিনী সরকারের অভিনীত নতুন ছবি ‘অমর সঙ্গী’। সম্প্রতি ছবির প্রথম ঝলক প্রকাশিত হয়েছে, এবং তা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
কী বললেন অভিনেতা? (Amar Sangi Poster)
বিক্রম চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দর্শকরা ছবিটি (Amar Sangi Poster) দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ঠিক তখনই একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যায়। বিক্রমের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা প্রথম পোস্টারটি প্রকাশ হওয়ার পর কিছু সময়ের মধ্যে সেই পোস্টারগুলি রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা ছিঁড়ে ফেলে। রাস্তার ধারে স্তূপাকার হয়ে পড়ে ছিল ছিঁড়ে যাওয়া পোস্টারের স্তুপ।
ক্ষুব্ধ অভিনেতা (Amar Sangi Poster)
এই ঘটনায় রীতিমতো (Amar Sangi Poster) ক্ষুব্ধ বিক্রম। তিনি জানিয়েছেন, “একই দিনে আরও কিছু ছবির পোস্টার মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু কেন কেবল আমাদের ছবির পোস্টারগুলোই নষ্ট করা হয়েছে?” কে বা কারা এই কাজটি করেছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিক্রম বলেন, “এটা বিষয় নয় যে কে করেছে, আসল বিষয় হল— এমন ধরনের আচরণ মনোবলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan House: বাড়ি কিনে ‘কর’ না, উল্টে টাকা পাচ্ছেন শাহরুখ!
ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে পোস্টার (Amar Sangi Poster)
পোস্টার লাগানোর পর, প্রযোজক এবং টিমের অন্যান্য (Amar Sangi Poster) সদস্যরা বিক্রমের সঙ্গে বেরিয়ে যান রাস্তায় পোস্টারগুলি দেখে আসার জন্য। কিন্তু রাতে গিয়ে তারা হতাশ হয়ে দেখেন যে বেশিরভাগ পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিক্রম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এই সিনেমার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি, অনেক স্বপ্ন মিশে রয়েছে এতে। প্রচারের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করে পোস্টার তৈরি করা হয়েছিল। এখন যদি নতুন পোস্টার বানাতে হয়, সেটা খুব সহজ কাজ নয়। চেন্নাই থেকে কলকাতায় নতুন পোস্টার আনা একেবারে সম্ভব নয়।”
ছবি প্রচারের পথে বাধা!
বাংলা সিনেমার উন্নতির জন্য একদিকে সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে, অন্যদিকে মুক্তির আগে এমন অশুভ ঘটনা ঘটেছে, যা বিক্রমের জন্য সত্যিই দুঃখজনক। তিনি বলেন, “এমন মানসিকতা সব জায়গাতেই থাকতে পারে, আমি তার বিষয়ে চিন্তা করি না। কিন্তু আমার দুঃখ অন্য জায়গায়— আমাদের ছবির প্রচারের পথে আবার বাধা আসল।”
হতাশ বিক্রম?
বিক্রমের আক্ষেপ, “কেবল আমাদের ছবির পোস্টারই এমনভাবে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমি দর্শকদের কী বলব?” ২০২৪ সালে বাংলা ছবির বাণিজ্যিক অবস্থায় কিছুটা উন্নতি এসেছে এবং দর্শকরা এখন নানা ধরনের ছবি প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যাচ্ছেন। তবে এমন একটি ঘটনা বিক্রমের কাছে হতাশাজনক, বিশেষত যখন তিনি জানেন, তার ছবির প্রচারে এত কষ্ট ও শ্রম করা হয়েছে।