ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টলিপাড়ার অন্দরে এই খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল (Aparajita Auddy Interview), যে এবার পর্দায় অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) আসছেন নেগেটিভ চরিত্রে (Bansara)। তিনি শয়তানি করবেন, আর পুলিশ হয়ে তাঁকে রুখবেন বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঘেরার প্রত্যন্ত গ্রামের পটভূমিকায় খুব শীঘ্রই আসছে ‘বানসারা’ (bansara) ছবি। ইতিমধ্যেই শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার ট্রাইব টিভি-র মুখোমুখি অপরাজিতা আঢ্য।
‘বানসারা’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন? (Aparajita Auddy Interview)
অপরাজিতা আঢ্য: আমার চরিত্রের নাম গৌরিকা দেবী (Aparajita Auddy Interview)। যিনি একটা প্রান্তিক এলাকার জমিদারের মেয়ে। যিনি গ্রামের জমিদার ছিলেন তাকে গ্রামের মানুষ দেবতা রূপে পুজো করত। খুব ভালোবাসত। প্রথম থেকেই গ্রামে বনদেবীর একটা ধারণা রয়েছে। বনদেবী এই গ্রামে খুব জাগ্রত। যখন গৌরিকার বাবা মারা যায়, তখন গৌরিকা ভাবতে থাকে, বনদেবীর মারাত্মক ক্ষমতা। গ্রামের যা যা নেতিবাচক ঘটনা ঘটছে, তার কারণে বনদেবী রুষ্ট হয়েছেন। যার কারণে নানান নিয়ম বানান।
ধীরে ধীরে গ্রামবাসীর মনে একটা ভয় তৈরি করেন (Aparajita Auddy Interview)। এই ভয়কেই হাতিয়ার করে গৌরিকা বিভিন্ন ভাবে নিজের ব্যবসা চালাতে থাকে। ব্যবসা চালাতে চালাতে গৌরিকা দেবী একদিন ভীষণ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ হয়ে যান। ঠিক এই মুহূর্তেই গ্রামে এন্ট্রি নেন একজন পুলিশ অফিসার। আগের যে , এসআই ছিলেন , তিনি গৌরিকা দেবীর খুব কাছের লোক ছিলেন। নতুন এসআই আসার পর ঠিক কি কি ঘটনা ঘটছে? গৌরিকা দেবী কিভাবে বিপদে পড়ে, সেটাই হল বানসারার গল্প।
সহ অভিনেতা হিসেবে বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? (Aparajita Auddy Interview)
অপরাজিতা আঢ্য: প্রথমত, বনিকে আমি ছোট থেকে দেখেছি (Aparajita Auddy Interview)। যখন অনুপদার সঙ্গে একটা ছবি করার কথা ছিল, তখন বনি খুব ছোট এবং ভীষণ দুষ্টু ছিল। বনি আমার অত্যন্ত প্রিয়। দ্বিতীয়ত, সহ অভিনেতা হিসেবে বনির সঙ্গে আগেও আরেকটা কাজ করেছি। ‘কে তুমি নন্দিনী’তে একসঙ্গে কাজ করেছি ঠিকই। কিন্তু বনির সঙ্গে আমার ফ্রেম শেয়ার খুব কম ছিল। তখনই আমার কাজ করতে করতে এটা মনে হয়েছিল, যে ঠিকঠাক গল্প , ঠিকঠাক ডিরেক্টরের কাছে পড়লে বনি কিন্তু খুব ভালো অভিনয় করবে।
আরও পড়ুন: Kapil Sharma: সলমনের পর এবার কপিল, মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া!
আমাদের অভিনেতা অভিনেত্রীদের কপালটা ভীষণ ম্যাটার করে। ভালো জায়গায় পড়া, ভালো গল্প, ভালো ডিরেক্টর দরকার । আরেকটা হয়, কিছুটা সময় গেলে যখন শিল্পী নিজেই ছবিটা করে নিতে পারেন। কিন্তু তার জন্য একটা বয়স, একটা জায়গার দরকার। প্রথমেই তো জীবনে সেটা হয় না। প্রথম দিকটা পুরোটাই অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। বানসারা করতে গিয়ে শেষ দুদিন বনির সঙ্গে শ্যুট করলাম। আমার মনে হয়েছে, এই ছবির জন্য বনির লুকটা খুব ভালো হয়েছে। বনি অভিনয়টাও খুবই সুন্দর করেছে।
পুজোতে বানসারা রিলিজ হতে চলেছে। নতুন প্রোডিউসার। ছবির বাজেট অনেক টাকার। পরিচালকের এটা একটা ড্রিম প্রজেক্ট। সেক্ষেত্রে পুজোয় টক্কর দেওয়া কতটা সহজ হবে?
অপরাজিতা আঢ্য: পুজোর সময় ছবি নিয়ে একটা মারামারি হয়। যারা ক্ষমতায় আছে, তারা বেশি হল পায়। এটা তো ঘটনা। বড় বড় ছবি হিরোর ছবি রিলিজ পাবে, অনেক বেশি হল পাবে। কিন্তু এই ক্রিসমাসে দেখলাম খাদান, চালচিত্র, ৫ নং স্বপ্নময় লেন, সন্তান রিলিজ হয়েছে। চারটে ছবি কিন্তু জায়গা করতে পেরেছে। প্রোডিউসার খুশি। সবার আগে দরকার, প্রোডিউসারের খুশি হওয়া এবং লাভ হওয়া।
আরও পড়ুন: Khadaan Dubai Tour: দুবাইয়ে টিম ‘খাদান’, প্রিমিয়ারে কেন নেই ইধিকা?
এক্ষেত্রে দুটো জিনিস আছে, যদি তোমার মনে হয়, ছবি ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাবে , তাহলে এমন সময় ছবি রিলিজ করতে হবে যখন ভিড় নেই। আর তোমার যদি মনে হয় কনটেন্ট ভালো আছে। তোমার ছবি অন্তত তিন সপ্তাহ হলে স্থায়ী হবে, তাহলে তুমি ওই ছবি নিয়ে লড়তে পারো। কারণ এখন মানুষের ছবি দেখার অভ্যাসটা বেড়েছে।
আমাদের সময় মায়েরা সপ্তাহে একদিন মাছ কম খাওয়াতো। ওই পয়সাটা রেখে দিত, সিনেমা দেখতে যাবে বলে। মা কাকিমা জেঠিমারা দল বেঁধে একই ছবি তিনবার দেখে নিত। এরা হল ঠিকঠাক দর্শক। সময়টা এমন ছিল, বেদের মেয়ে জোসনা ৫ বার দেখত। তাদের সময়টা এখন শেষ হয়েছে। তারপরে একটা স্লথ পিরিয়েড এসেছে। কিন্তু এখন আবার বাংলা ছবির দর্শক তৈরি হয়েছে। ছবি ভালো হলে দেখতে যায়। সুতরাং আমি আশাবাদী, ভালো ছবি বানালে দর্শক দেখবে।