ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঘুম থেকে উঠে গরম জল(Warm Water) খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু এই গরম জল খাওয়া উপকারীতা(Warm Water Benefits) জানেন না অনেকেই। এই অভ্যাস যে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গরম জল শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে। ফলে হজমের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। এ ছাড়া খালি পেটে গরম জল পান করলে শরীর থেকে টক্সিনও দূর হয়ে যায়।
অনেকেই মেদ ঝরাতে ভরসা রাখেন গরম জলের উপরেই। তবে গরম জলে লেবু মিশিয়ে খেলে ফল মিলবে আরও বেশি। এটা শরীরের চর্বি ভাঙতে দারুণ কার্যকর। সকালবেলা খালি পেটে গরম জল(Warm Water) খেলে উপকার পাওয়া যায় অনেক। কী কী উপকার পেতে পারেন আপনি, দেখে নিন একনজরে।
প্রথমত, গরম জল(Warm Water) শরীরের রক্তবাহিকা সম্প্রসারিত করে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ফলে শীতেও শরীরের তাপমাত্রা যেমন বজায় থাকে, তেমনই হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। একই রক্ত সঞ্চালনের ফলে শরীরের সর্বত্র পুষ্টিরসও পৌঁছে যায় দ্রুত।
দ্বিতীয়ত, ত্বকের খেয়ালও রাখে গরম জল। রোজ সকালে হাল্কা গরম জল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, গরম জলের উপকারীতা(Warm Water Benefits)আপনার ত্বকে অকালে বলিরেখা দূর করবে। গরম জল খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে। বৃদ্ধি করে কোলাজেনের উৎপাদন। আর তার ফলে আপনার চামড়া কুঁচকে যায় না, ত্বক টানটান থাকে। যেহেতু গরম জল রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখে, তাই ত্বকের সমস্ত কোষে পুষ্টি পৌঁছনোর হার বেড়ে যায়। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
আরও পড়ুন: Amla Benefits: কমবে ওজন, বাড়বে জেল্লা! শীতের এই ছোট্ট ফলই করবে বাজিমাত
তৃতীয়ত, ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে, বিশেষ করে শীতকালে সকালে গরম জল খেলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া জাতীয় সমস্যার সমাধান হতে পারে। কারণ গরম জল নাকের ভিতরে থাকা মিউকাস মেমব্রেনকে আরাম দেয়। মিউকাস নরম হলে নাক বোজার সমস্যা মিটতে পারে।
চতুর্থত, ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শীতে যে সমস্ত খাবার বেশি খাওয়া হয়, তাতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি। গরম জল খেলে শরীরে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি হয়, যা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: How to Identify Original Honey: বাজার চলতি মধু কিনে ঠকছেন না তো? সহজে চিনুন খাঁটি মধু…
পঞ্চমত, রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ে নিয়মিত গরম জল খেলে। গরম জল যে হেতু শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বা টেনে বার করে দেয়, তাই স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ভাল থাকে। শরীরে প্রাকৃতিক দূষণমুক্তকরণের কাজ করে গরম জল।
কী ভাবে খাবেন?
ফুটন্ত জল বা অত্যন্ত বেশি গরম জল খাবেন না। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জল খান। স্বাদহীন মনে হলে তাতে লেবু এবং মধুও দিতে পারেন।