ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শপথ নেবার মঞ্চ থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump on TikTok Issue) চীনের উদ্দেশ্যে দিলেন কড়াবার্তা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনা অ্যাপ টিকটকের যৌথ উদ্যোগের যে কথা হয়েছিল, তা নিয়েও ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল হুঁশিয়ারির সুর।
কড়া বার্তা ট্রাম্পের (Donald Trump on TikTok Issue)
মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডট্রাম্প বলেছেন, “যদি চীন ইউএস-টিকটক চুক্তির (Donald Trump on TikTok Issue) কথায় সম্মতি না দেয়, তবে আমরা চীনের উপর শুল্ক আরোপ করার কথা ভাববো। ভুলে যাবেন না, চীন আমাদের সবজিনিসের উপর শুল্ক আরোপ করে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের খুব কম চার্জ করি। আমরা চীনকে শত শত বিলিয়ন ডলার শুল্ক দিয়েছি, কিন্তু চীন আমাদের দেশকে ১০ পয়সাও দেয়নি। তারা আমাদের থেকে টাকা শুষে নিয়েছে, কিন্তু বিনিময়ে কোনওকিছুর জন্যই টাকা দেয়নি। যদি আমি টিকটক সংক্রান্ত একটা ভালো চুক্তির আয়োজন করি, চীন বোধহয় তাতেও সম্মত হবেনা। যদি তারা সম্মত না হয়, তবে আমরা তাদের উপর শুল্ক আরোপ করবো। আমি বলছিই না যে করবোই, কিন্তু এই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করবো।”
৪৭ তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ট্রাম্প (Donald Trump on TikTok Issue)
সোমবার আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump on TikTok Issue)। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের আসনে বসলেন তিনি। তার সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জে ডি ভ্যান্স। টিকটক ছাড়াও দেশের যাবতীয় জরুরি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার বক্তব্যে একাধিকবার উঠে এসেছে উন্নত আমেরিকার কথা।
আরও পড়ুন: Donald Trump: মার্কিন মসনদে ট্রাম্প, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা মোদির
ভোটযুদ্ধের সঙ্গে জীবনযুদ্ধেও জয়ী
এদিন ট্রাম্প বক্তব্য রাখার সময় পুরোনো স্মৃতি মনে করে বলেন, পেনসিলভানিয়ার মাঠে ভোটপ্রচারের সময় তার উপর বুলেট হামলার কথা। তিনি বলেছেন যে আমেরিকার উন্নয়নের জন্যই কোনও এক অদৃশ্য শক্তি তার প্রাণ বাঁচিয়েছে।
সরকারি কার্যকলাপ
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় বার শপথ নেবার আগে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের থেকে সোমবার অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন ট্রাম্প। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রথম দিনেই তিনি ‘প্রায় ১০০’ নির্বাহী আদেশে সই করবেন। সেই নির্দেশনামাগুলির অনেকগুলোতেই বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই তালিকায় রাখা হয়েছে ‘বেআইনি অভিবাসী বিতাড়ন’-এর পদক্ষেপকেও।