ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ব্রিটেন সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের (EAM Jaishankar) স্টার্মারের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার অনুষ্ঠিত এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য (EAM Jaishankar)
জয়শঙ্কর জানান, ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের সঙ্গে সাক্ষাৎ (EAM Jaishankar) করার সুযোগ পেয়ে তিনি আনন্দিত। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর কথা জানান। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি, জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও উঠে এসেছে আলোচনা শুরুর প্রেক্ষিতে।
স্টার্মারের মতামত (EAM Jaishankar)
বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে স্টার্মারের মতামতও শুনেছেন জয়শঙ্কর (EAM Jaishankar) । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সংকট সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।” এটি বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়, কারণ ইউক্রেনের সংকট সামগ্রিক বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুন: US Tariff War: এবার ভারতেও শুল্ক চাপালো ট্রাম্প, কবে থেকে ধার্য ?
যৌথ আলোচনা
জয়শঙ্করের সফরের আগের দিন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব ইভেট কুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মানবপাচার এবং চরমপন্থা মোকাবিলায় দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে দুই দেশের নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নীতিতে নতুন দিক নির্দেশনা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনা
এই সফরের উদ্দেশ্য হল ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ভারতীয় সম্পর্ককে নতুন করে গতিশীল করা। জয়শঙ্কর আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত এই দুই দেশে সরকারি সফরে থাকবেন এবং সেখানে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনা অন্বেষণ করবেন।

ব্যবসা-বাণিজ্যে অস্বচ্ছতা!
ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই শক্তিশালী হলেও সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু অস্বচ্ছতা দেখা দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে জয়শঙ্করের এই উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপট
ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিসরে কিভাবে ভারত তার অবস্থান শক্তিশালী করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জয়শঙ্করের এই সফর কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে নয়, বরং বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে।