ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক সুজাতা মণ্ডল (Sujata Mondal)। দলের কিছু ‘গদ্দার’ বিজেপি প্রার্থীর কাছ থেকে ‘টাকা খেয়ে’ আমাকে হারিয়েছে’, দাবি করলেন লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। লোকসভা ভোটের (Lok sabha Election) ফলাফল প্রকাশের পর ইন্দাস ব্লকে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে এই প্রথমবার যখন তাঁর হারের কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন, তখন সেই মঞ্চে বসে আছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দলের রাজ্যস্তরীয় নেতা শুভাশীষ বটব্যাল সহ অন্যান্যরা।
বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী (BJP) তথা তাঁর প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁ-র কাছে ৫ হাজার ৫৬৭ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। তারপর থেকে তিনি এবিষয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি। এদিন প্রকাশ্য সভায় হারের কারণ নিয়ে মুখ খোলা ও দলের একাংশকে দায়ী করা নিয়ে শাসক দলের অন্দরে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন: বানভাসি ঘাটাল, মৃতদেহ সৎকারের জন্য হেঁটে পাড়ি কয়েক কিমি পথ
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শুটআউট, যুবককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা খাস কলকাতায়
সুজাতা মণ্ডল বলেন, ‘পছন্দ মতো প্রার্থী না হলে রাতের অন্ধকারে বিজেপি প্রার্থীর সাথে সেটিং করে’ দলের কেউ কেউ। এর পরেই নাম না করে ওই সব তৃণমূল নেতাদের ‘গদ্দার’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন সুজাতা মণ্ডল। তিনি বলেন, মানুষ আমাকে হারায়নি, বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ছ’টি আসন আমাদের হাত ছাড়া ছিল। ৩ হাজার ২০০ ভোটে জিতে থাকা বড়জোড়া কেন্দ্রেও ওই এলাকার নেতৃত্বের ব্যর্থতায় ১৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে যাই। মানুষের ভালোবাসা ছিল বলেই ৫ হাজার ৫৬৭ ভোটে মার্জিন নেমে আসে। বিজেপি প্রার্থী নিজেই স্বীকার করেছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের নেতা টাকা নিয়ে তাঁকে জিততে সাহায্য করেছেন। ওই সব মানুষরুপী ‘অসুর’রাই তাকে হারিয়েছে বলে দাবি করেন সুজাতা মণ্ডল।
আরও পড়ুন: গলা কাটা অবস্থায় পড়ে স্বামী, অর্ধনগ্ন অবস্থায় ঝুলছে স্ত্রীর দেহ, ভাঙড়ে ফের জোড়া খুনে আতঙ্ক
আর এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস জানান, ‘বিজেপি মানুষের ভোটে জয়লাভ করেছে। এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা তো আগেই বলতাম এটা গদ্দার’দের দল, এখন ওনারাই বলতে শুরু করেছেন। এই দলে চোর-গুণ্ডা-বদমাশ ছাড়া ভালো কেউ নেই।’