ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বছরের শুরুর দিনে ফেস্টিভ মুডে বাংলা (Festive Mood at New Year)। নতুন বছর মানেই পিকনিকের মরশুম (Picnic Season), সঙ্গে দেদার খাওয়াদাওয়া, নাচ-গান, হৈ-হুল্লোড়। বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে (Bengal-Jharkhand Border) সবুজ পাহাড়ে ঘেরা আসানসোলের মাইথন জলাধার (Maithon Reservoir) ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নতুন বছরের শুরুতে মাইথনে উপচে পড়ল পর্যটকদের ভিড় (Crowd Of Tourists)। একই ছবি দেখা গেল বসিরহাটের টাকিতেও (Festive Mood at New Year)।
বছরের শুরুতে উৎসবের মেজাজ (Festive Mood at New Year)
নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট আসানসোলের অন্যতম পিকনিক স্পট মাইথন জলাধার (Maithon Reservoir)। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা (Tourist) এখানে আসতে শুরু করেছেন। দামোদরের ওপর নির্মিত জলধারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। কিন্তু পিকনিকের মরশুমে সবথেকে বেশি পর্যটক আসেন এখানে। পয়লা জানুয়ারি পর্যটকরা যেমন পিকনিকের আনন্দে মেতে উঠেছেন, তেমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলছে নৌকা বিহার (Boat Ride)।চলছে দেদার রান্না (Cooking) এবং খাওয়া-দাওয়া এবং নাচ-গান (Festive Mood at New Year)।
পুলিশের কড়া নজরদারি (Festive Mood at New Year)
পিকনিক ও পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পিকনিক স্পটগুলিতে রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি (Police Surveillance)। পর্যটকদের গাড়ি পার্কিং (Car Parking) করতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য নির্দিষ্ট বেশ কয়েকটি জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চলছে নাকা চেকিং। বছরের প্রথম দিন মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে আনন্দ করতে পারেন, তার জন্য তৎপর রয়েছে প্রশাসন (Festive Mood at New Year)।
আরও পড়ুন: Arabul Islam: বছরের শুরুতেই অশান্ত ভাঙড়, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘আক্রান্ত’ আরাবুল
নৌকাবিহার ঘিরে উৎসুক পর্যটকরা (Tourists Interested In Boating)
জলাধারে নৌকা বিহারের জন্য নৌকা চালক বা পর্যটকদের বারবারই লাইফ জ্যাকেট (Life Jacket) ব্যবহার করতে বলা হয়। এক্ষেত্রে পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতামূলক মনোভাবই দেখা গিয়েছে।সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে সঙ্গে মাইথন জলাধারে (Maithon Reservoir) নৌকাবিহার পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয়। আসানসোলের মাইথন থার্ডডাইক, সিদাবাড়ি সহ প্রতিটি পিকনিক স্পটে পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছে (Crowd Of Tourists)।ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফুটেছে হোটেল ব্যবসায়ী, নৌকা চালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানিদের মুখে।

টাকির ইছামতির পারে পর্যটকদের ভিড়
অন্যদিকে, নতুন বছরে নতুন সূর্য দেখে পিকনিকে মাতলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (India-Bangladesh Border) টাকির পর্যটকরা। ইছামতি নদী পাড়ে এসে ওপারে বাংলাদেশকে সাক্ষী রেখে সকাল থেকে একদিকে নৌবিহার (Boating), অন্যদিকে পিকনিকে (Picnic) দেদার খাওয়া দাওয়া ও নাচ-গানে মাতলেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। বছরের প্রথম দিনটিকে একেবারে চেটেপুটে উপভোগ করছেন জেলা, কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: West Midnapur News: ঝুলছে কাঠের সেতু, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত গ্রামবাসীদের
টাকি জুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা
মিনি সুন্দরবন, রাজবাড়ী ঘাট, পাশাপাশি পুবের রাবাড়ি ও জোড়া মন্দির সহ টাকির ইকো পার্কেও (Eco Park) ভিড় জমাচ্ছেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতারা। সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলেও কুয়াশা তথা মেঘ কাটতেই একেবারে ঝলমলে রোদে ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটকদের আনাগোনা (Crowd Of Tourists) বেড়েই চলেছে টাকি জুড়ে।
পর্যটকদের ভিড়ে হাসি ব্যবসায়ীদের মুখে
পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়তেই টোটো চালক থেকে শুরু করে ছোট ফুড স্টল এবং হোটেল মালিকদের মুখে চওড়া হাসি। নলেন গুড়, পাটালি ও মধু কিনতেও পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন স্টলে। ২০২৪ এর শেষ রাত থেকেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। নতুন বছরের ভোর থেকেই শীতকে একেবারে আঁকড়ে মানুষ দেদার আনন্দ উপভোগ করছেন। ইছামতি নদীর বুকে লঞ্চে করে তাঁরা যেমন ঘুরলেন টাকির টি পয়েন্ট, তেমনই বাংলাদেশকে একেবারে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত পর্যটকরা।