ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এবার পুণ্যার্থীদের ফেলা বর্জ্য দিয়েই তৈরি হবে গঙ্গাসাগরের (Gangasagar road) রাস্তা। বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় এবার সাগরের উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। গঙ্গাসাগরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। ফের আরও এক অভিনব উদ্যোগ। গঙ্গাসাগর সাফাই অভিযানের পর এবার পুণ্যার্থীদের ফেলা প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়েই গঙ্গাসাগরের রাস্তা তৈরির ভাবনা।
লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী সমাগমের ফলে সাগরদ্বীপের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ধরনের বর্জ্য। সেসব এক জায়গায় করলে হাজার টনের ওপরে তো হবেই। তার মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক বোতল, ব্যাগ, ছাউনি খাটানোর পলিথিন ইত্যাদি। মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান করার পর তীর্থযাত্রীরা সেসব ফেলে রেখে গিয়েছেন যত্রতত্র। এবার সেই সমস্ত প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে নির্মাণ করা হবে গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন রাস্তা (Gangasagar road)।
আরও পড়ুন: Gangasagar: ঝাড়ু হাতে সাগরতটে রাজ্যের মন্ত্রীরা, শুরু গঙ্গাসাগর সাফাই অভিযান
‘শুদ্ধিকরণ প্রতিবার, গঙ্গাসাগরের অঙ্গীকার…’(Gangasagar road)
‘শুদ্ধিকরণ প্রতিবার, গঙ্গাসাগরের অঙ্গীকার…’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজ্য প্রশাসন এবারের গঙ্গাসাগর মেলার সূচনা করেছিল। মেলা শেষেও এই স্লোগানের ধারাবাহিকতা জিইয়েই রাখল রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত প্রায় রাজ্য তথা দেশ ও বিদেশ থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী এসেছিলেন গঙ্গাসাগরে (Gangasagar road)। গঙ্গাস্নানের পর তীর্থযাত্রীরা যত্রতত্র ফেলে রেখেছেন একাধিক বর্জ্য। মেলা চলাকালীন প্রায় ১১২৩ টন বর্জ্য জমা হয়েছে। তারমধ্যে ১৫০ মেট্রিক টন শুধুমাত্র প্লাস্টিকের বর্জ্য। যা গত কয়েকবছরের মধ্যে সর্বাধিক বলেই মনে করা যাচ্ছে। পুণ্যার্থীদের এই ফেলে দেওয়া জিনিসই পুনর্ব্যবহারের কথা ভাবছে এক বেসরকারি সংস্থা। মেলার শেষ হলেই কাজ শুরু করার ভাবনা তাদের।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী অনিতা মাইতি বালা তিনি জানান, ‘গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ উপলক্ষে জানুয়ারি মাস থেকেই গঙ্গাসাগরের ভিড় জমিয়েছে তীর্থযাত্রীরা। আর এই তীর্থযাত্রীদের ফেলে দেয়া বর্জ্য নিয়ে আমাদের এই মহান কর্মযজ্ঞ। তীর্থযাত্রীদের ফেলে দেওয়া বর্জ্য এখানে এনে পুনর্ব্যবহার করে জৈব সার থেকে শুরু করে কাচের জিনিসপত্র এমনকি গঙ্গাসাগরে (Gangasagar road) বিভিন্ন রাস্তার ক্ষেত্র এই বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহার যোগ্যকরে তোলা হচ্ছে। এই মহান কর্মযজ্ঞে ২০০র বেশি কর্মী কর্মরত। নামখানা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ৮ টি ইউনিটে এই মহান কর্মযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত এই জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছেএবং প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।’