ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী (Indian Boys Kidnapped) অনন্তপুর গ্রামে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দুই ভারতীয় চাষিকে তুলে নিয়ে গেল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গঙ্গারামপুর থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অনন্তপুর গ্রামে। সেচের কাজ করে গাছতলায় বসে জিরোচ্ছিলেন। ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কিছু ক্ষণ। সেই সুযোগে সীমান্তের এ পার থেকে দুই ভারতীয় কৃষকের মুখ বেঁধে ও পারে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। অনেক চেষ্টার পরে তাঁদের কাঁটাতারের এ পারে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে বিএসএফ। পাশাপাশি দুই বাংলাদেশিকে ছেড়ে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
শুরু হয় দুই দেশের ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ (Indian Boys Kidnapped)
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ফিলিপ সোরেন এবং অবিনাশ টুডু নামে দুই ভারতীয় কৃষক চাষের কাজে গিয়েছিলেন সেখানে। সেচের কাজ শেষে ভারতীয় সীমান্তে গাছতলায় শুয়ে ছিলেন দু’জন। অভিযোগ, সেই সময় কয়েক জন বাংলাদেশি তাদের মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যান। কিছু ক্ষণ পর ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় (Indian Boys Kidnapped)। উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিষয়টি কানে যায় বিএসএফের। দুই ভারতীয়কে উদ্ধার করতে শুরু হয় দুই দেশের ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’। তার পর দুই যুবককে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁরা সুস্থ আছেন বলেই খবর।
‘রাগে’ দুই ভারতীয়কে ও পারে তুলে নিয়ে যান (Indian Boys Kidnapped)
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্তে দুই বাংলাদেশি যুবক টিকটক করতে গিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ফেলেছিল। এই আবহে তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল বিএসএফ (Indian Boys Kidnapped)। আটক মাহফুজ ইসলাম রিমন ও তার মামা সাজেদুল ইসলামরা এসএসসি পরীক্ষার্থী। পরে বিজিবি সঙ্গে পতাকা বৈঠকে সেই দুই বাংলাদেশিকে ছেড়ে দেয় বিএসএফ। ফিরে গিয়ে সেই দুই যুবক বাংলাদেশি মিডিয়াকে জানায়, বিএসএফ তাদের সাথে কোনও দুর্ব্যবহার করেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এনামুল হক এবং মাসুদ রানা নামে দুই বাংলাদেশিকে ভারতীয় সীমান্তে আটক করা হয়। অভিযোগ, সেই ‘রাগে’ দুই ভারতীয়কে ও পারে তুলে নিয়ে যান কয়েক জন। ফ্ল্যাগ মিটিং শেষে ওই বাংলাদেশি যুবকদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : দিলীপে অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরের, কোন পথে দিলীপের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ?
সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের ওপর প্রভাব
বিএসএফ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, ‘শেরপুর অঞ্চল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর এবং সিলেট জেলায় মৌলবাদীদের কার্যক্রম খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের সেই কট্টরপন্থী কাজকর্ম সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের ওপর প্রভাব ফেলছে।’ পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত বিএসএফ এবং মেঘালয় পুলিশ যৌথভাবে রাজ্যজুড়ে ২৭টি চেকপয়েন্ট পরিচালনা করছে।