ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (Jhargram Doctor News) অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের আত্মহত্যা বা রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় এবার রাজ্যের থেকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের। মামলায় মৃত চিকিৎসকের স্ত্রীকে যুক্ত করার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। দু’সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (Jhargram Doctor News) অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের আত্মহত্যা বা রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের থেকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য্যের ডিভিশন বেঞ্চ (Jhargram Doctor News) । বৃহস্পতিবার শুনানি শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মৃত চিকিৎসক থ্রেট কালচার নিয়ে যে অভিযোগ করেছিলেন সেটা অন্য মামলায়। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। নর্থ বেঙ্গল লবি নিয়ে আমরা অন্য মামলা শুনেছি। শেখানো ভীষণভাবে থ্রেট কালচার ছিল। তাই এই মামলায় রাজ্যকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে (Jhargram Doctor News) ।’
রাজ্যের আইনজীবীর শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের বলেন, ‘মৃত চিকিৎসক (Jhargram Doctor News) যে এসএমএস করেছিলেন তার একটা অংশ প্রকাশিত হয়েছে। অন্য অংশটি এখনো প্রকাশিত হয়নি। উনি নিজের কৃতকার্যে একটা সময় অপরাধ অনুভূত করেছিলেন। সেই জন্যই তিনি আত্মহত্যা করেন। এবং সেই কথা তিনি তাঁর স্ত্রীকে জানান। আমরা সমস্তটাই ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছি।’
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/viral-images-in-social-media-two-tmc-leaders-basirhat/
তার জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মামলায় মৃত চিকিৎসকের (Jhargram Doctor News) স্ত্রীরও কিছু বক্তব্য থাকতে পারে। তাই তাঁকেও এই মামলায় যুক্ত করা হোক। তবে তাঁর পরিচয় গোপন রাখতে হবে। মুখবন্ধ খামে রাজ্য কী রিপোর্ট দেয়, আমরা সেটা আগে দেখব। তারপর ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্তে নেব।’ দুই সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে লজের একটি বন্ধ ঘর থেকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (Jhargram Doctor News) অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ছুটি কাটিয়ে তিনি লজে ফিরেছিলেন। তারপর চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে আর কোনও যোগাযোগ না হওয়ায় পরিবারের সন্দেহ হয়। তারপরেই লজের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে সেই মেসেজে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/adhir-ranjan-chowdhury-has-hit-the-high-court/
পাশাপাশি, অপর একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে উল্লেখ করেন আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গও। সেই মেসেজে তিনি লিখেছিলেন, ‘এ ভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? কোন দুনিয়ায় বাস করছি আমরা? ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না, জেগে থাকতে ইচ্ছে করে না, চারিদিকে শুধু অন্ধকার।’ অন্যদিকে, স্ত্রীকে উদ্দেশ করে মৃত চিকিৎসক লেখেন, ‘পুরনো ক্ষত থেকে বেরোতে পারলাম না।’
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/afsar-ali-khan-applying-for-bail-on-calcutta-hc/
এরপরেই তাঁর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দ্বারা মারতে থাকে। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি আরজি করে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় অবসাদ? কি কারনে তিনি আত্মহত্যা করেন সেই উত্তর এখনও অধারা। সেই মামলাতেই এবার রাজ্যের থেকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি মামলায় মৃত চিকিৎসকের (Jhargram Doctor News) স্ত্রীকে যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। দুই সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি (Jhargram Doctor News) ।