ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায়(Jiban Mukhopadhyay)। তিনি ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। শিক্ষার্থীদের কাছে জীবন মুখোপাধ্যায় ইতিহাস বইয়ের লেখক হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে রাজনীতির পাশাপাশি আপামোর শিক্ষাজগতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন জীবনবাবু (Jiban Mukhopadhyay)
মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে বাইপাসের ধারে বেসরকারি এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি(Jiban Mukhopadhyay)। মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁর হৃদযন্ত্রে সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। ২৮ ডিসেম্বর শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন জীবনবাবু(Jiban Mukhopadhyay)।
দু’বার বিধায়ক ছিলেন সোনারপুর বিধানসভা কেন্দ্রে (Jiban Mukhopadhyay)
সোনারপুর (দক্ষিণ) বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়ে দু’বার বিধায়ক হন জীবন মুখোপাধ্যায়(Jiban Mukhopadhyay)। ২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে সোনারপুর দক্ষিণ থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন জীবন মুখোপাধ্যায়। ২০১৬ সালেও ওই আসন থেকে জয় পান এই তৃণমূল নেতা। বার্ধক্যজনিত কারণে ২০২১ সালে আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
আরও পড়ুন:Mamata Banerjee: সন্তোষ-জয়ীদের স্বপ্ন পূরণ, নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
সক্রিয় রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে
মূলত ২০২১ সালে দল আর তাঁকে ভোটের টিকিট দেয়নি। টিকিট না পেয়ে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি। দু’বারের বিধায়ক অধ্যাপনা ও লেখালেখির পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিও করেছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়েছিল ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে। তবে মানুষের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রেখেছিলেন নিয়মিত। তিনি অধ্যাপক ,রাজনীতেবিদের পাশাপাশি সমাজকর্মীও ছিলেন।
অধ্যাপক ও লেখক জীবন মুখোপাধ্যায়
কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন জীবন মুখোপাধ্যায়(Jiban Mukhopadhyay)। তাঁর লেখা ইতিহাস বই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিল। অধ্যাপনার পাশাপাশি একাধিক বই লিখেছেন। মূলত ইতিহাস–কেন্দ্রিক লেখা লিখতেন জীবনবাবু। এবং তাঁর ইতিহাস বিষয়ক বইগুলি ছিল ছাত্রমহলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। শুধু স্কুলে নয়, ডিগ্রি কোর্সেও পাঠ্য ছিল তাঁর বই। ফলে বাঙালি ছাত্রজীবনের বেশ কিছুটা জুড়েই জীবনবাবু।
আরও পড়ুন:Higher Secondary Dropouts: কমছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, বাড়ছে স্কুলছুট
মুখ্যমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী থাকার সময় থেকেই জীবন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ভালো। তাঁর মৃত্যুর খবর যখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায় তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগরে ছিলেন। আর এই খবর শুনে প্রচণ্ড ব্যথিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘সোনারপুরের প্রাক্তন বিধায়ক এবং আমার সহযোদ্ধা জীবন মুখোপাধ্যায়ের আকস্মিক প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক এবং পাঠ্য বইয়ের লেখক ছাড়াও তিনি জনপ্রিয় এবং সমাজকর্মী ছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’